পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য ܘܠ “চন্দন ঘষে দিলে না যে ?” হেরম্ব উঠে বসল। বলল, “ওসব আমি পারি না। আমাদের ংসার হলে তুমি যে বলবে এটা কর ওটা কর তা চলবে না। আনন্দ। আলসেমিকে আমি প্ৰায় তোমার সমান ভালবাসি।” “ভালবাস নাকি আমাকে ?” আনন্দের কণ্ঠস্বর হেরম্বকে চমকে দিল । সহজ ও সরল প্রশ্ন নয় । উচ্চারণের পর মরে যায় না। এমন সব কথা আনন্দ আজকাল এমনি অবহেলার সঙ্গে বলে । হেরম্বের মনশচক্ষে যে ছানিস্পশািড়তে আরম্ভ করেছিল চোখের পলকে তা স্বচ্ছ হয়ে গেল। আনন্দের মুখ দেখে সে বুঝতে পারল শুধু বিষন্নতা নয়, সেই প্ৰথম রাত্ৰিতে চন্দ্ৰকলা-নাচ শেষ করার পর আনন্দের যে যন্ত্রণা হয়েছিল তেমনি একটি কষ্ট সে জোর করে চেপে রাখছে। হেরম্ব সািভয়ে জিজ্ঞাসা করল, “একথা বলছি কেন, আনন্দ ?” “আমার ক’দিন থেকে এ রকম মনে হচ্ছে যে !” ‘আগে বল নি কেন ?” ‘মনে এলেই বুঝি সব কথা বলা যায় ? আগে বলি নি, এখন তো বলছি। তুমি বলেছিলে ভালবাসা বেশীদিন বঁাচে না । আমাদের ভালবাসা কি মরে যাচ্ছে ?” হেরম্ব জোর দিয়ে বলল, “তা যাচ্ছে না। আনন্দ । আমাদের ভালবাসা কি বেশী দিনের যে মরে যাবে ? এখনো যে ভাল করে আরম্ভই হয় নি!” আনন্দ হতাশার সুরে বলল, “আমি কিছুই বুঝতে পারি না। সব হেঁয়ালির মত লাগে । তুমি, আমি, আমাদের ভালবাসা, সব মিথ্যে মনে