পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9) দিবরাত্রির কাব্য : জন্মায় নি। আনন্দের মুখ দেখে হেরম্ব ছাড়া আর সকলের সন্দেহ হবার সম্ভাবনা আছে যে আনন্দের দাত কন কন করছে। ‘চন্দনটা তুমিই ঘষে নাও, আনন্দ”-বলে হেরম্ব মন্দির ছেড়ে চলে এল। বহুদিন আগে একবার এক বর্ষণ-ক্ষান্ত নিশীথ স্তব্ধতায় সজল, বায়ুস্তর ভেদ করে হেরম্বের কলকাতার বাড়ীতে বিনামেঘে বজাঘাত হয়েছিল। স্ত্রীর ভয় তারও মনে সংক্রমিত হওয়াতে বাকী রাতটা হেরম্ব আতঙ্কে ঘুমাতে পারে নি। আজ কিছুক্ষণের জন্য তার অবিকল সেই कभ ७१ कCड कi5व ! ঘরে গিয়ে হেরম্ব বিছানায় আশ্রয় নিল । বারান্দা দিয়ে যাবার সময় দেখে গেল, অনাথ তার ঘরে ধ্যানস্থ হয়েছে। তার নিস্পন্দ দেহের দিকে এক নজর তাকালেই বোঝা যায়, বাহ্যজ্ঞান নেই । অনাথের সুদীর্ঘ সাধনা হেরম্ব দেখে নি, এত দ্রুত তাকে সমাধিস্থ হতে দেখে তার বিস্ময়ের সীমা থাকে না। আনন্দের কাছে সে শুনেছে, গত বৎসরও অনাথের এ ক্ষমতা ছিল না। মাস চারেক আগে অনাথ একবার মাথার যন্ত্রণায় ক’দিন পাগলের মত হয়ে গিয়েছিল, তারপর থেকে আসনে বসলেই সে সমাধি পায় । জীবনে মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করবার সখ হেরম্বের কোন দিন ছিল না, এ বিষয়ে কৌতুহলও তার নেই। বিছানায় চিৎ হয়ে সে ঘুমেরই তপস্যা আরম্ভ করল। আনন্দ যখন ঘরে এল ঘুমের আশা সে ত্যাগ করেছে, किछु 6bश् 6८व्व न् ि। আনন্দ জিজ্ঞাসা করল, ‘ঘুমিয়েছ ?” "ן וף*