পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য SN আনন্দের মুখ তার চোখের সামনে থেকে মুছে যায়। আত্মোপলব্ধির qMOKB sBDBD DBDDLDLD DDD SLJDBBB DBBBD SgDD DBDY uBDL u থাকে। এ সহজ কথা নয়। অন্তরের একটা পুরানো শবগন্ধী পচা অন্ধকার আলোয় ভেসে গেল, একটা নিরবিচ্ছিন্ন দুঃস্বপ্নের রাত্ৰি দিন হয়ে উঠল। এবং তা অতি অকস্মাৎ । এরকম সাংঘাতিক মুহূৰ্ত্ত হেরম্বের জীবনে আর আসে নি । এতগুলি বছর ধরে তার মধ্যে দু’জন হেরম্ব গাঢ় অন্ধকারে যুদ্ধ করেছে, আজি আনন্দের মুখে-লাগা চাদের আলোয় তারা দৃশ্যমান হয়ে ওঠায় দেখা গেছে, শক্ৰতা করে পরস্পরকে দু’জনেই তারা ব্যর্থ করে দিয়েছে। হেরম্বের পরিচয়, ওদের লড়াই। আর কিছু নয়। ফুলের বেঁচে থাকার চেষ্টার সঙ্গে কীটের ধ্বংসপিপাসার দ্বন্দ্ব, এই রূপকটাই ছিল এতকালের হেরম্ব। সমারোহের সঙ্গে দিনের পর দিন নিজের এই অস্তিত্বহীন অস্তিত্বকে সে বয়ে বেড়িয়েছে। চকমকির মত নিজের সঙ্গে নিজেকে ঠুকে চারি- ; দিকে ছড়িয়ে বেড়িয়েছে আগুন ! কড়িকাঠের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় ফাস লাগিয়ে সেই উমাকে বুলিয়ে দিয়েছিল। সে খুনী। হেরম্ব নিঝুম হয়ে বসে থাকে । জীবনের এই প্রথম ও শেষ প্ৰকৃত আত্মচেতনাকে বুঝেও আরও ভাল করে বুঝবার চেষ্টায় জাল-টানা পচা পুকুরের উখিত বুদবুদের মত অসংখ্য প্রশ্ন, অন্তহীন স্মৃতি তার মনে ভেসে ওঠে। আনন্দ দু’বার তার প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করলে তবে সে তার কথা vegaAVS P “কি ভাবছি ? ভাবছি। এক মজার কথা আনন্দ ”