পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন তপস্বিনী ぬ" রাজার প্রবেশ রাজা । মাধব | কাল সভা হবে, কাল আমি সকলের সম্মুখে সকল কথা ব্যক্ত করে বলবো ;--আমি স্ত্রীহত্য, পুত্রহত্যা করিচি, আমার তুষানল প্রায়শ্চিত্ত, কিন্তু কলিতে তুষানলের রীতি নাই, আমি দ্বাদশ বৎসর বনবাসী হবে, মন্ত্রী আমার নামে রাজ্য করবেন। মাধ। জলধর ? রাজা । মাধব, আমি এমন পাগল হই নি যে জলধরের স্বন্ধে রাজ্যের ভার দিয়ে যাব । জলধরকে কৌতুক করে মন্ত্রী বলা যায়, মন্ত্রীর সমুদায় কাৰ্য্য বিনায়ক নিৰ্ব্বাহ করে । মাধ। তা হলেই বিদ্যাভূষণ পাগল হবে । যার বিয়ে তার মনে নাই, পাড়া পড়শীর ঘুম নাই। আপনি বনবাস ব্যবস্থা কচ্চেন, বিদ্যাভূষণ বরাভরণ প্রস্তুত কচে, আর সকলকে বলে বেড়াচ্চে তিনি রাজশ্বশুর হয়েচেন ; র্তারে সভাপণ্ডিত বল্যে রাগ করে ওঠেন । রাজা । ব্রাহ্মণের মনে যথেষ্ট ক্লেশ হবে তার সন্দেহ কি ; কিন্তু আমি গৃহে থাকলেও অার বিয়ে করতেম না। রাণী শব্দটি কাণে গেলে আমার প্রাণ চমকে ওঠে, আমার চিত্ত ব্যাকুল হয় । আমি বড় রাণীর সেই মলিন বদন, সেই সজল নয়ন, সেই আলুলায়িত কেশ দেখতে পাই—আমার ইচ্ছা হয় সপ্রণয় সম্ভাষণে সেই মলিন মুখ চুম্বন করি, অঞ্চল দ্বারা নয়ন মুছায়ে দিই। মাধব, লোকে আমায় কি কাপুরুষ বিবেচনা করে । - মাধ। মহারাজ ! যেমন রাজবাড়ীর দ্বারে সতত দ্বারপালের অবস্থান করে, উত্তম বসন, উত্তম ভূষণ না পরিধান করে এলে তাহারা কাহাকেও আসতে দেয় না, দীন দরিদ্র দেখলেই