পাতা:দীর্ঘকেশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দীর্ঘকেশী।
১১

যুবক, স্ত্রীলোক প্রভৃতি অনেকেই আসিয়া সেই স্থানে উপস্থিত হইল; ভদ্রলোক হইতে অতি নীচ শ্রেণীর লোকদিগকে সেই স্থানে দেখিতে পাইলাম। জলের মধ্যে ঐ পদার্থটীকে দেখিয়া তাহাদিগের মধ্যে কেহই স্থির করিতে পারিল না যে উহা কি, কিন্তু সকলেরই বিশ্বাস হইল যে, কোন একটী পদার্থ ঐ স্থানে রহিয়াছে। এই অবস্থা দেখিয়া আমি সেই সমস্ত ব্যক্তিকে লক্ষ্য করিয়া কহিলাম, তোমাদিগের মধ্যে এরূপ কোন এক সাহসী ব্যক্তি আছে, যে সাঁতার দিয়া ঐস্থানে গিয়া দেখিয়া আসিতে পার, ঐ পদার্থটি কি?

 আমার কথার উত্তরে দুইজন নিম্নশ্রেণী মুসলমান যুবক কহিল, আদেশ পাইলে আমরা এখনি গিয়া দেখিয়া আসিতে পারি, উহা কি?

 তাহাদিগের কথা শুনিয়া আমি তাহাদিগকে ঐস্থানে যাইতে কহিলাম, তাহারাও সন্তরণ দিয়া ক্রমে সেইদিকে অগ্রসর হইতে লাগিল, কিন্তু উহার সন্নিকটবর্ত্তী না হইয়া প্রায় দশ ফিট ব্যবধান হইতে উভয়েই প্রত্যাগমন করিল ও কহিল, আমরা উহার নিকটে যাইতে পারিলাম না ও বুঝিতে পারিলাম না যে, উহা কি? অমুমানহইল, দূর হইতে আমাদিগকে দেখিয়াই উহা যেন তাহার হস্ত পদ সঞ্চালন করিয়া আমাদিগকে ধরিতে আসিতেছে। আমাদিগের ভয় হইল, সুতরাং প্রাণ লইয়া আমরা সেইস্থান হইতে পলাইয়া আসিলাম।

 ঐ অবস্থা দেখিয়া ও মুসলমান যুবকদ্বয়ের কথা শুনিয়া কিছুই স্থির করিয়া উঠিতে পারিলাম না। পূর্ব্বে মনে করিয়াছিলাম, যাহার ছিন্নমস্তক আমরা পূর্ব্বে প্রাপ্ত হইয়াছি, তাহারই দেহ ঐস্থানে