পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুপুরে সেই ছেলেটিই তাহাকে খাইবার জন্য ডাকিয়া লইয়া গেল। নিধু উহাদের বাড়ির মধ্যে ঢুকিয়া অবাক হইয়া গেল। বড়লোকের বাড়ি বটে ! চক-মিলানো দোতলা বাড়ির বারান্দা হইতে দামী দামী সুদৃশ্য ভিজা শাড়ি বুলিতেছে, বারান্দায় সুবেশা সুন্দরী মেয়ের ঘোরাফেরা করিতেছে, কোন ঘরে গ্রামোফোন বাজিতেছে-লোকজনে, ভিড়ে, হৈচৈএ সরগরম। এই বাড়িটি সে পড়িয়া থাকিতে দেখিয়া আসিতেছে বাল্যকাল হইতে । কখনো ইহার দেশে আসেন নাই—নিধু বাড়িটার মধ্যে কখনো ঢুকিয়া দেখে নাই এর আগে। বাবার মুখে সে শুনিয়াছে তাহার যখন বয়স চারি বছর, তখন একবার ইহার দেশে আসিয়া ঘরবাড়ি মেরামত করে ও নতুন করিয়া অনেকগুলি ঘর বারান্দা তৈরি করে-কিন্তু সে কথা নিধুর স্মরণ হয় না। একটি প্রৌঢ় মহিলা তাহাকে যত্ন করিয়া আসন পাতিয়া বসাইলেন এবং কিছুক্ষণ পরে একটি পনেরো-ষোলো বছরের সুন্দরী মেয়ে তাহার সামনে ভাতের থালা রাখিয়া গেল। কিছুক্ষণ পরে মহিলাটি আবার আসিয়া তাহার সামনে বসিলেন। নিধু লজ্জায় মুখ তুলিয়া চাহিতে পারিতেছিল না। মহিলাটি বলিলেন-লজা করে খেও না বাবা । তোমাকে সেবার এসে দেখেছিলাম। এতটুকু ছেলে, এর মধ্যে কত বড়টি হয়েচ। ও মঞ্ছ, এদিকে আয়, তোর দাদার খাওয়া দ্ব্যাখ, এখানে দাড়া এসে, আমি আবার ওদিকে যাব । মেয়েট আসিয়া মায়ের পাশে দাড়াইল। বলিল-বারে, আপনি কিছু ticist at C নিধু সলজ্জভাবে বলিল-আপনাকে বলতে হবে ন-আমি ঠিক 6थCमें दिমেয়ের মা বলিলেন-ওকে “আপনি” বলতে হবে না বাছা । ও তোমার ছোট বোনের মতো-এক গায়ে পাশাপাশি বাড়ি, থাকা হয় না, আসা হয়। Tð