পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই সময়ে চাকরে একখানা, রেকাবিতে লুচি, আলুভাজা, পটল ভাজা, দুটি সন্দেশ এবং এক বাট চা আনিয়া নিধুর সামনে রাখিল। সাধন ব্যস্ত হইয়া বলিলেন-জল, জলনিয়ে আয় এক গ্লাস-আর ও'রে শোন, পান দুটো অমনি-পাননিধু জানাইল সকালবেলা সে পান খায় না। সাধনকে জিজ্ঞাসা করিলআপনি খাবেন না ? --নাঃ, আমার অম্বল। কিছু সাহিত্যু হয় না, কাল রাতে খেয়েচি, এখনো পেট ভার। তুমি খাও-তোমরা ছেলে-ছোকরা মানুষ। আরও লুচি দেবে ? —কি যে বলেন!! আর কিছু দিতে হবে না। আর দিলে খাওযা যায় ? চা পানের পরে এ-গল্পে ও-গল্পে বেল প্ৰায় দশটা সাড়ে-দশটা হইয়া গেল । সাধন বলিলেন-তাহলে নিধিরাম এবাবে স্নানটা করে নাও এখানেই । ও, নেয়ে এসেচ ? তবে আমি একবার বাড়ির মধ্যে থেকে আসি । কিছুক্ষণ পরে আসিয়া তিনি নিধুকে বাড়ির মধ্যে ডাকিয়া লইয়া গেলেন। ক্ষুদ্র বাসা, দু-তিনখানি মাত্র ঘর, কিন্তু বাসায় লোকজন ও ছেলে-মেয়ে নিতান্ত মন্দ নয় সংখ্যায়। নিধু মনে মনে ভাবিল-বাবা, এ পঙ্গপাল সব থাকে কোথায় এই ক’টা ঘরে ? বারান্দায় দুখানি কার্পেটের আসন পাতা। একখানিতে নিধুকে বসাইয়া সাধন তাহার পাশের আসনটিতে বসিয়া বলিলেন-ও বুড়ি, নিয়ে ५é — একটি চোদ-পনেরো বছরের না-ফর্সা, না-কালে রঙের রোগ গড়নের মেয়ে দুজনের সামনে ভাতের থালা নামাইয়া চলিয়া গেল এবং পুনরায় আর একখানা থালার ওপর বাটি সাজাইয়া ঘরে ঢুকিয়া দুজনের সামনে তরকারির বাটিগুলি স্থাপন করিল। তখন সে চলিয়া গেল বটে, কিন্তু সাধন তাহাকে বেশিক্ষণ চোখের আড়ালে থাকিতে দিলেন না। কখনো á良