পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-হ্যা মা, বউ ধুলো আর গরম-তাই নেয়ে সাবান দিয়ে ঠাণ্ডা হয়ে sea-অসুখ-বিসুক না করলে বাঁচি এখন! কক্ষনে তো সন্দেবোলা নাইতে দেখিনি তোকে-কাপড় ছেড়ে এসে জল খেয়ে নে। চা খাবি ? নিধু জানে মা চা করিতে জানে না। তাছাড়া ভালো চা বাড়িতে নাইও, কারণ তাহদের বাড়িতে কখনো কালে ভদ্রে কেহ শখ করিয়া হয়তে চা খায়-তাহাও ঔষধ হিসাবে ; সন্দি-টদি লাগিলে তবে । সে বলিল-না মা চা থাক-তুমি খাবার দাও বরংনিধুর মা ছেলেকে রেকাবিতে করিয়া তালের ফুলুরি ও গুড় আনিয়া দিলেন। নিধু খাইতে ভালোবাসে বলিয়া দ্বিপ্রহরের রন্ধন সারিয়া এগুলি নিজ হস্তে করিয়া রাখিয়াছেন। বলিলেন-খা তুই-আর লাগে আরও দেব, আছে । এমন এক সময় আসে জীবনে, আসল মাতৃস্নেহও মনকে তৃপ্তি দিতে পারে না, বরং উত্যক্ত করিয়া তোলে। নিধুর জীবনে সেই সময় সমাগত। সে এতগুলি তেলে-ভাজা তালের বড় এখন বসিয়া বসিয়া খাইতে রাজী নয়। তাহাতে প্ৰথমত তো সময় যাইবে, তারপর যদি মঞ্জুর জলখাবার খাইবার জন্য বলে-কিছুই খাওয়া যাইবে না। গোগ্রাসে কতক বড় খাইয়া কতক বা ফেলিয়া নিধু তাড়াতাড়ি উঠিয়া পড়িয়া মুখ ধুইয়া বাহিরে যাইতে উদ্যত হইল। নিধুর মা ডাকিয়া বলিলেন-হ্যারে, ওমা একি করে খেলি তুই ? সবই যে ফেলে গেলি ? ভালোবাসিস বলে বসে বসে করলাম, তা পান খাবি নে ? উত্তরে দরজার বাহির হইতে নিধু কি যে বলিল-ভালো বোঝা গেল না। মন্ধুদের বাড়ির বাহির দরজাতে পা দিতেই নৃপেনের সঙ্গে দেখা । Aà