পাতা:দুই বোন - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
দুই বোন

 ম্যানেজারবাবু বলেন, “ধাঁধা লাগছে। আমরা তো জানতুম টাকাটা ও-পক্ষে অস্পৃশ্য ছিল।” ম্যানেজার নীরদকে পছন্দ করতেন না।

 ঊর্মি বলে, “কিন্তু বিদেশে—” কথাটা শেষ করে না।

 কাকাবাবু বলেন, “এদেশের স্বভাব বিদেশের মাটিতে বদলে যেতে পারে সে জানি—কিন্তু আমরা তার সঙ্গে তাল রাখব কী ক’রে।”

 ঊর্মি বলে, “টাকাটা না পেলে হয়তাে বিপদে পড়তে পারেন।”

 “আচ্ছা বেশ, পাঠাচ্ছি মা, তুমি বেশি ভেবো না। ব’লে রাখছি এই শুরু হােলাে কিন্তু এই শেষ নয়।”

 শেষ যে নয় অনতিকাল পরেই আরাে বড়ো অঙ্কে তার প্রমাণ হােলো। এবার প্রয়ােজন স্বাস্থ্যের। ম্যানেজার গম্ভীরমুখে বললেন, “শশাঙ্কবাবুর সঙ্গে পরামর্শ করা ভালাে।”

 উর্মি শশব্যস্ত হয়ে বললে, “আর যাই করাে, দিদিরা এ-খবরটা যেন না পান।”

 “একলা এই দায়িত্ব নিতে ভালাে লাগছে না।”

 “একদিন তো টাকা তাঁর হাতেই পড়বে।”