পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপসংহার
৪৩

না, কিন্তু তাহার গর্ভসঞ্চারকে ভয় করা হইতেছে। তারপর থাকে অসুস্থ ও নিস্তেজ যুবকগণের কথা; ইহারা নিজের অথবা অন্যের স্ত্রীর সহিত অতিমাত্রায় ইন্দ্রিয়সেবা করিতে চায় এবং পাপ জানিয়াও ইহাতে লিপ্ত হইয়া ইহার ফল এড়াইতে ইচ্ছুক। আমি বিশেষ জোর দিয়া বলিতে চাই, যাহারা ইন্দ্রিয়সেবা করিতে ইচ্ছুক অথচ সন্তানের জনক জননী হইতে অনিচ্ছুক, ভারতের জন্মসমুদ্র মধ্যে এরূপ সুস্থদেহ স্ত্রী-পুরুষের সংখ্যা অত্যন্ত বিরল। তাহারা যেন তাহাদের কথা জাহির করিয়া না বেড়ায়, কারণ যদি ইহা ব্যাপক হইয়া পড়ে, তবে ইহাতে যুবক-যুবতীর সর্বনাশ নিশ্চিত। এক মহা কৃত্রিম শিক্ষা-পদ্ধতি যুবকদের মানসিক ও শারীরিক শক্তি নষ্ট করিয়া দিয়াছে। অনেক স্থলে আমরা অপরিণত বয়স্ক পিতামাতার সন্তান। স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়ম মানি না বলিয়া, আমাদের শরীর নষ্ট হইয়াছে। উত্তেজক মসলাযুক্ত অপুষ্টিকর খারাপ খাদ্য আমাদের পাকযন্ত্রকে দুর্ব্বল করিয়া দিয়াছে। কৃত্রিম উপায়ে গর্ভনিরোধ করিয়া কিভাবে ইন্দ্রিয়-পরিতৃপ্তি করার সুবিধা হইবে, সে শিক্ষা আমাদের দরকার নাই। যাহাতে ইন্দ্রিয়সংযম শিক্ষা হয় এরূপ শিক্ষা আমাদের নিরন্তর দরকার। যদি আমরা মানসিক ও শারীরিক শক্তি হিসাবে দুর্ব্বল থাকিতে না চাই, তবে সংযম পালন করা সম্পূর্ণরূপে সম্ভব এবং বিশেষ আবশ্যক, এ শিক্ষা যেন আদর্শ ও উপদেশ হইতে আমরা পাই। আমাদের মুক্তকণ্ঠে ঘোষণা করা দরকার, যদি আমরা ক্ষীণকায় ‘বামনের জাতি’ হইতে ইচ্ছা না করি, তবে যে জীবনী-শক্তি আমরা দিন দিন নষ্ট করিতেছি তাহা সঞ্চয় করিয়া বৃদ্ধি করিতে হইবে। আমাদের বালবিধবাদিগকে গোপনে পাপ করার পরামর্শ দিতে হইবে না, তাহাদিগকে বলিতে হইবে, তাহারা যেন প্রকাশ্যভাৰে সাহসের সহিত আবার বিবাহ করার ইচ্ছা