পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৪৯
দুর্নীতির পথে
৪৯

প্রাণীজগতে জনন যে সকল থাকে, সেগুলি পূর্বের ন্যায়ই একটি ভাগ হইয়া দুইটি হয়। কোষের মধ্যে কাৰ্যানুসারে বহু প্রকার বিভাগ সৃষ্টি হইয়াছে, তাহারা অন্তঃস্থলের কোষদিগকে রক্ষা করে। যে সকল কোষ পূর্বের ন্যায় একটি ভাগ হইয়া দুইটি হয়, তাহারা এখন দেহের মধ্যেই ঐরূপ হয়- অবশেষে কতকগুলি দেহের বাহির হইয়া যায়। কিন্তু এই সকল কোষের একটি নূতন শক্তি লাভ হয়। পূর্বে যেমন ইহারা একটি ভাগ হইয়া দুইটি পৃথক কোষ হইয়া যাইত, এখন সেরূপ না হইয়া অন্তর্ভেদ হয় অর্থাৎ পৃথক না হইয়া একের মধ্যেই একাধিক প্রাণকেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। বহুকোষাত্মক প্রাণীগণের নিজ নিজ জাতির আকার ও আকৃতি না হওয়া পর্যন্ত এইরূপ চলিতে থাকে। কিন্তু এই সকল প্রাণীর দেহে আমরা একটি নূতন ব্যাপার দেখিতে পাই। নবসৃষ্ট প্রাণকোষগুলি কেবলমাত্র অথবা মুখ্যত পৃথক প্রাণী সৃষ্টির জন্য দেহের বাহিরে আসে না ; অপরপক্ষে তাহারা দেহের নানাকার্যেরত বিভিন্ন কোষসমষ্টির জন্য যথাপ্রয়ােজন কোষ জোগাইয়া থাকে। সুতরাং জীবকোষগুলি দুই প্রকার কাৰ্য্য করিয়া থাকে, প্রথমত দেহের ভিতরের সৃষ্টি দ্বারা দেহের পুষ্টিসাধন, দ্বিতীয়ত দেহের বাহিরের সৃষ্টি দ্বারা বংশ অথবা জাতিয়ক্ষা। এই দুই প্রকারের ক্রিয়া আমরা সূক্ষ্মভাবে আলাদা করিয়া দেখিতে পারি এবং ইহাদের যথাক্রমে অর্জনন এবং জনন নামে অভিহিত করিতে পারি। কিন্তু একটি গুরুতর কথা এখানে মনে রাখা দরকার। অর্জনন ক্রিয়ার উপর প্রত্যেক প্রাণীর অস্তিত্ব নির্ভর করে, এজন্য ইহা মুখ্য ও প্রয়ােজনীয় ; জননক্রিয়া জীবকোষের বাহুল্য হেতু হইয়া থাকে, অতএব ইহা গৌণ।, এই দুই ক্রিয়াই খাদ্য গ্রহণ অথবা পুষ্টির উপর বিশেষরূপে নির্ভর করে। কারণ পুষ্টির অল্প হইলে অর্জনন কমিয়া যায় এবং জননের আবকতা অথবা সম্ভাবনাও থাকে না। প্রথম