পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫০
দুর্নীতির পথে
৫০

দুনীতির পথে অন্তর্জনন, দ্বিতীয়ত জননের জন্য জীবকোষগুলির পােষণ করাই এই শুরে জীবনীশক্তির কাৰ্য্য। যদি পুষ্টির অল্পতা হয়, তবে প্রথমে অন্ত- জননের দাবীই পূরণ করিতে হইবে এবং জননক্রিয়া বন্ধ রাখিতে হইবে। এইরূপে আমরা প্রাণীগণের জননক্রিয়া স্থগিত রাখার মূল কারণ জানিতে পারি এবং সেই মূল ধরিয়া মানুষের যৌননীতির উন্নত স্তরগুলির যথ ব্রহ্মচর্য ও সন্ন্যাসের অর্থ বুঝিতে পারি। অন্তৰ্জনন ক্রিয়া কখনও বন্ধ করা চলে না, কারণ তাহা করিলেই মৃত্যু। মৃত্যুর স্বাভাবিক কারণ কি তাহাও এরূপে দেখা গেল অর্থাৎ অন্তর্জনন ক্রিয়া বন্ধই মৃত্যুর স্বাভাবিক কারণ। ২। প্রাণীজগতে অন্তজনন যৌনবিভাগ বা লিঙ্গভেদ মনুষ্য ও জন্তুগণের মধ্যে প্রকৃতিগত হইয়াছে এবং ইহাদের মধ্যে চরম পরিণতি লাভ করিয়াছে। তাহা আলােচনা করার পূর্বে অযৌন জনন এবং যৌন-জননের মধ্যবর্তী যে জননরীতি দেখা যায় তাহার প্রতি দৃষ্টিপাত করা আবশ্যক। পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ ইহাকে 'হারমাফ্রোডাইট’ (দ্বিলিঙ্গ। এই পৌরাণিক নাম দিয়াছেন, কারণ ইহাতে একাধারে স্ত্রী-পুরুষের ক্রিয়া হইয়া থাকে। এখনও এরূপ প্রকৃতিবিশিষ্ট কয়েক প্রকার জীব আছে। ইহাদের দেহের মধ্যে পূর্ববর্ণিত প্রকারে জীবকোষের বৃদ্ধি হইয়া থাকে । কিন্তু ঐ জীবকোষ- সকল একেবারে দেহের বাহিরে না আসিয়া সাময়িকভাবে দেহের এক অংশ হইতে উৎক্ষিপ্ত হইয়া অপর অংশে যুক্ত হয় এবং যতদিন পর্যন্ত ভিন্ন প্রাণীরূপে বাচিয়া থাকার শক্তি লাভ না করে, ততদিন পর্যন্ত ঐ ভাবে পুষ্ট হইতে থাকে। উৎক্ষেপণের সময় পর্যন্ত জনকদেহের যতখানি পরিণতি হইয়াছে,