পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৫৭
দুর্নীতির পথে
৫৭

জনন ও মৃত্যু এবং মৃত্যুর মধ্যে অত্যন্ত নিকট সম্বন্ধ রহিয়াছে। এ বিষয়ে বহু বৈজ্ঞানিক বিশেষ নিশ্চয়তার সহিত পরিষ্কার ভাবে লিখিয়াছেন, জননের নিশ্চিত পরিণাম মৃত্যু। অনেক শ্রেণীর জীবের মধ্যে ইহা সুস্পষ্টই দেখা যায়। সন্তান-জন্মদানের সঙ্গে সঙ্গেই ইহাদের মধ্যে এ অথবা পুং জীবটির মৃত্যু হয়। সন্তান জন্মদানের পরেও জীবন থাকা সকলক্ষেত্রে দেখা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে একেবারেই না। মৃত্যু সম্বন্ধে মহাকবি গেটে যে প্রবন্ধ লিখিয়াছেন, তাহাতে তিনি জননের সহিত মৃত্যুর যে কিরূপ অমােঘ ও নিকট সম্বন্ধ তাহা দেখাইয়াছেন। একদিক দিয়া জনন ও মৃত্যু অনুরূপ—উভয়ই দেহীর পক্ষে পর ক্ষয়সঙ্কট বলা যাইতে পারে। প্যাটিক গেডিস্ এ বিষয়ে লিখিয়াছেন :- ‘জননের সহিত মৃত্যুর সম্বন্ধ সুস্পষ্ট কিন্তু সাধারণত লােকে ইহাকে ভুলভাবে নির্দেশ করিয়া থাকে। লােকে বলে, জীবমাত্রেরই মৃত্যু আছে, সুতরাং জনন না করিলে জাতি লােপ পাইবে। কিন্তু ভবিষ্যতের ভালমন্দের উপর এই জোর দেওয়াটার চেষ্টা আমাদের কর্মের পরবর্তী কল্পনাপ্রসূত। জীবের ইতিহাস আলােচনা করিলে যে সত্য আবিষ্কার করা যায় তাহা এই যে, মরিতে হইবে বলিয়া যে, জীবগণ জনন করে তাহা নহে, জনন করিতে হয় বলিয়াই জীবগুণের মৃত্যু ঘটে।” গেটে বলিয়াছেন, “মৃত্যু আছে বলিয়া বংশবৃদ্ধি আবশ্যক এক বলা চলে না, বরং সন্তান জন্মদানের অবশ্যম্ভাবী ফল মৃত্যু। বহু নিদর্শন দেখাইয়া নীচের প্রণিধানযোেগ্য কথাগুলি লিখি গেছিস্ তাহার বক্তব্য শেষ করিয়াছেন। “উচ্চশ্রেণীর জীবের মতে সন্তানজন্মহেতু মৃত্যু সম্ভাবনা অনেকটা কমিয়াছে সত্য কিন্তু জননক্রিয়ায় সাক্ষাৎ ফলস্বরূপ মৃত্যু মানুষেরও হইতে পারে। পরিমিত কেন সদ্যোগের ফলেও কিরূপ সাময়িক ক্লান্তি আসে এবং যৌনসম্ভোগের ফলে