পাতা:দুর্নীতির পথে - বিনয়কৃষ্ণ সেন.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬২
দুর্নীতির পথে

মানুষ শারীরিক শক্তি ও ঈপ্সিত আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করে। কোনো যোগ সফল করিতে হইলে প্রথমেই ব্রহ্মচর্য্য পালন করিতে হইবে।

 যোগ সাধনের উদ্দেশ্য ও উপায় ভাষ্যকারগণ রূপকের ভাষায় বর্ণনা করিয়াছেন। যেমন উক্ত হইয়াছে, শক্তি সাপের মত নিঃশব্দে সর্ব্বাপেক্ষা নীচের চক্র (অণ্ডকোষ) হইতে উঠিয়া সর্বাপেক্ষা উপরের চক্রে (মস্তিষ্কে) যায়।


৬। ব্যক্তিগত সম্ভোগনীতি

সাধারণত, ব্যক্তি সমাজ বা জাতির অভিজ্ঞতা হইতে নীতিশাস্ত্র রচিত হয়। ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করিলে বুঝা যায় যে, অনেক সময় কোনো না কোনো মহাপুরুষ নীতিশাস্ত্র রচনা করিয়াছেন। মুসা, বুদ্ধ, কন‍্ফুসিয়াস, সক্রেটিস, এরিষ্টট‍্ল্ যীশুখৃষ্ট এবং তাঁহাদের পরবর্ত্তী মহান্ নীতিবিদ ও দার্শনিকগণ নিজ নিজ দেশে ও কালে মানবের আচরণের ঔচিত্য অনৌচিত্য বিচার করার জন্য মাপকাঠি নির্দ্দেশ করিয়া গিয়াছেন। দর্শন, মনোবিজ্ঞান, শরীর-বিজ্ঞান এবং সমাজ বিজ্ঞানের তথ্য সমূহই সাধারণ নীতিশাস্ত্রের ভিত্তি। এজন্য কোনো যুগের লোকে নিজেদের অভিজ্ঞতা হইতে যে সব তত্ত্বের প্রভাব বিশেষভাবে উপলব্ধি করে, সেই যুগ বা সভ্যতার ব্যক্তিগত সম্ভোগনীতি সেই সব তত্ত্বের উপর নির্ভর করে। সমাজিক সম্ভোগনীতির ন্যায় এই ব্যক্তিগত সম্ভোগনীতি যুগে যুগে পরিবর্ত্তিত হয়। কিন্তু ইহার ভিতর এমন কিছু আছে যাহা অল্পবিস্তর স্থায়ী।

 বর্তমান যুগের উপযোগী সম্ভোগনীতি নির্ণয় করিতে হইলে, সমস্ত জ্ঞাত ঘটনা ও সম্ভাবনার উপর (বিশেষভাবে যখন ইহারা বিচক্ষণ লোক দ্বারা পরীক্ষিত হইয়াছে) আমাদের নির্ভর করিতে হইবে। একথা বলিলে অন্যায় হইবে না যে, ১ম হইতে ৫ম অধ্যায়ে আমি যে সব ঘটনা