জীব-বলি । SY 9 কৰ্ম্ম, দর্শ পৌর্ণমাস, চাতুৰ্ম্মস্য, পশুযাগ,বৈশ্বদেব ও বলিহরণ-ইহারা দ্রব্যময় কাম্যকৰ্ম্ম-অতীব আশক্তিযুক্ত ও অশান্তি প্ৰদ।” ( १भ श्क-२d: अ ) মহাভারতে দৃষ্ট হয়, ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ স্পষ্টই কহিয়াছেন—“অহিংসাযুক্ত কাৰ্য্য করিলেই ধৰ্ম্মানুষ্ঠান করা হয় । হিংস্রাদিগের হিংসা নিবারণের জন্যই ধৰ্ম্মের সৃষ্টি হইয়াছে। উহা প্ৰাণীদিগকে ধারণ (রক্ষা) করে। বলিয়াই ধৰ্ম্ম নামে নির্দিষ্ট হইয়াছে। অতএব যদ্বারা প্ৰাণীগণের রক্ষা 要环, उांश्छे ধৰ্ম্ম ।’” ( কর্ণ १० एय ) گے ধৰ্ম্ম বিষয়ে তুলনায় সত্যবাক্য অপেক্ষা অহিংসাকে উচ্চস্থান দিয়া জগদীশ্বর বিঘোষিত করিয়াছেন “প্ৰাণিণামবধস্তাতঃ সৰ্ব্বজায়ান মতো মম।” প্ৰাণিগণকে বধ না করাই আমার মতে সর্বশ্রেষ্ঠ (ধৰ্ম্ম) । অর্থাৎ অহিংসা পরম ধৰ্ম্ম । মোটের উপর আমার বক্তব্য এই যে-বেদে না হউক, বৈদিক বা বেদবাদীদিগের মতে প্ৰাণীহিংসা বা জীবাবলির-পশু-বলির পিন্ধি আছেমহামারী কাণ্ড আছে। কিন্তু ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ ও ভীষ্মের মত জ্ঞানবৃদ্ধ মহাপুরুষগণ বলিয়াছেন -এ সব কৰ্ম্মকাণ্ড ধৰ্ম্মকাণ্ড নহে । অজ্ঞান অৰ্ব্বাচীন আমরাও কি বলিতে পারি না-ও কাণ্ডগুলা ভাল নহে ; ঐ সকল কাণ্ড পণ্ড করিতেই ভগবানকে বৈকুণ্ঠ হইতে নামিয়া আসিতে হইয়াছিল। আমরা ‘‘যজ্ঞোহস্য ভূত্যৈ সৰ্ব্বস্যা” মানতে প্ৰস্তুত আছি, কিন্তু “যজ্ঞার্থে পশবঃ সৃষ্টাঃ” এ কথাটাকে উপস্থিত অর্থে সমীচীন বলিয়া মাথায় করিয়া না লইতেও পারি ; তাহাতে দোষ ঘটে না । ভগবানের একটি লীলা-কাহিনী প্ৰকাশ করিয়া প্ৰসঙ্গ সর্দীর্ঘশ্বাস শেষ করি—
