शीव-लि । Gy সিংহ ব্যাস্ত্ৰ বৃক-হিংস্ৰ জন্তুগণ নিরীহ পশু বধ করে-ক্ষুধার তাড়নায়, প্ৰাণধারণার্থ; তাহদের অন্য উপায় নাই। আর জ্ঞানাভিমানী সদসদবিচারক্ষন মানব ! তুমি নিরীহ প্ৰাণী নাশ কর কিসের নিমিত্ত ? ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য? না জীবনধারণের জন্য-না স্বৰ্গলা ভার্থ ? কিন্তু তোমার ক্ষুধা নিবৃত্তির-তোমার জীবনধারণের ত লক্ষ লক্ষ উপায় আছে ; তোমার স্বৰ্গলাভের বা ততোধিক উচ্চলোক লাভের ত সহস্ৰ পন্থা নির্দিষ্ট রহিয়াছে! না-তোমার দেবতৃপ্তি ! হা বিধি ! কাকে একটা চড়ই পাণী ধরিয়াছে দেখিলে আমরা তাড়াহুড়া দিয়া, চেঁচামেচি করিয়া তাহার মুখের গ্রাস খসাইতে চাই, আমাদের দয়া ধৰ্ম্ম সহানুভূতি উথলাষ্টয় উঠে, আর নিজেরা কি করিয়া থাকি! আব্ব একটা কথা শাস্ত্ৰে আছে উল্লেখ করিতে হয় ; যে পশুকে বলি দেওয়া যায়, তাহার না কি সদগতি হয়, সে ও না কি উচ্চযোনি প্ৰাপ্ত হয় । মনু বলিয়াছেন “ওষধ্যঃ পশবো বৃক্ষাস্তিৰ্য্যঞ্চ পক্ষিণস্তথা। যজ্ঞাৰ্থং নিধনং প্রাপ্তাঃ প্রাপ্ন বস্তুচ্ছি ভীঃ পুনঃ ॥”৫৷৷৪০ ধান্যযবাদি ওষধি সকল, পশু সকল, বৃক্ষ সকল, তিৰ্য্যক জাতি পক্ষী সকল, যজ্ঞের জন্য নিধন প্ৰাপ্ত হইলে পুনর্বার উচ্চযোনি প্ৰাপ্ত হয়। অবরি- * ‘মধুপৰ্কে চ যজ্ঞে চ পিতৃদৈবতকৰ্ম্মণি । এঘাৰ্থেষু পশুনি হিংসন বেদতত্ত্বার্থবিদ্বিজ । আত্মানঞ্চ পশুঞ্চৈব গময়ত্যুত্তমাং গতিম৷”৫৪২ s * মধুপৰ্কাদির জন্য, যজ্ঞে, পিতৃকাৰ্য্যে, দৈবকাৰ্য্যে-এই সকল ব্যাপারে পশু হনন করিয়া দেবতত্ত্বার্থজ্ঞ দ্বিজগণ আপনার ও পশুর-উভয়েরই সদগতি সম্পাদন করেন ।
