পাতা:দূর্গাপুজার বলি ও জীব বলি.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औद-लेि । এখনকার মত প্ৰতিমার সম্মুখে বলিদান হইবে। বেদে কুত্ৰাপি প্ৰতিমা নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহার পূজা করিবার নিদর্শন নাই। প্ৰতিমার পরিবর্তে আৰ্য্যগণ অগ্নি প্ৰজালিত করিয়া তদীয় জ্যোতিতে ভগবানের জ্যোতির আভাস দেখিতেন । পুরাণ-শাস্ত্ৰ মতে ত্ৰেতাযুগ হইতে প্ৰতিমা-পূজা সুরু ; পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের মতে বুদ্ধদেবের আবির্ভাব কালের পূর্বে ব্ৰাহ্মণপন্থী সমাজে প্ৰতিমা-পূজা একেবারেই ছিল না। প্ৰতিমার সম্মুখে আমরা যে পশু বলি দিই, তাহার বিধি-কোন কোন পুরাণকারেরা বলিয়া থাকেন— “পশুঘাতশ্চ কৰ্ত্তব্যে গবলাজিবধস্তথা ।” ( দেবীপুরাণ ) উক্ত বচনে “পশুঘাতশ্চ কৰ্ত্তব্যে-ইতি শ্ৰতেঃ’ ; অর্থাৎ বেদবিধি অনুসারেই ( মহিষ ছাগাদি ) পশু বধ কৰ্ত্তব্য । অতএব বলি বেদবিধি । বলিদান যদি হইল যজ্ঞ, যজ্ঞ বলিলেই বেদ ব্ৰাহ্মণাদি আসিয়া পড়ে ; বেদ ব্ৰাহ্মণাদি হইলেন শ্রুতি ; আর “ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসমান।াণাং প্ৰমাণং পরািমং শ্রুতিঃ ।”-(মনু) ধৰ্ম্মের কথা জানিতে হইলে শ্রুতিই প্ৰধান প্ৰমাণ । এখন শ্রুতিতে যজ্ঞ-তথা জীব-বলি সম্বন্ধে কি পাওয়া যায় ? শ্রুতিতে “অগ্নিষোমীয়ং পশুমালভেত” অগ্নিষোমীয় যজ্ঞে পশু বধ করিবে—এ বাক্যও মিলে ; এবং “মা হিংস্যাৎ সৰ্ব্বভুতানি”-কোন প্রাণীরই হিংসা করিবে না-ইহাও পাওয়া যায়। স্মাৰ্ত্তপণ্ডিতগণ প্ৰমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন, এ বচন দুইটী পরস্পর-বিরোধী নহে। সে নৈয়ায়িকের তর্ক-থাক । বেদের মৰ্ম্ম সকল স্থলে আয়ত্ত্ব করা দুরূহ, কিন্তু দেখা যায়, বেদবাদীদিগের বিধান অনুসারে উদাম পশুহনন চলে ; এই জন্যই তত্ত্ব আমাদের ভগবানকে ডাকিতে হয় \)