পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরম্ভ করলেন। আরও এমন কথা সব বললেন যা ওঁদের মুখ দিয়ে বেরুলো কি ক’রে আমি বুঝতে পারিনি। আমি সীতাকে বকলাম, মাও বাকলেন-তুই যাস কেন যেখানে সেখানে, আর না বুঝে যা তা বলিসই বা কেন ? এ-সব জায়গার ধরন তুই কি বুঝিস ? সীতার চোখ ছল ছল ক’রে উঠল। সে অতশত বোঝেনি, কে জানে ওরা আবার, এখানে বলে দেবে! সে মনে যা এসেচে, মুখে সত্যিা কথাই বলেচে। এ নিয়ে এত কথা উঠবে তা বুঝতেই পারেনি। পৌষ মাসের শেষে আমাদের বাড়ি সরগরম হয়ে উঠল-শুনলাম ওঁদের গুরুদেব আসবেন ব’লে চিঠি লিখেচোন । এই গুরুদেবের কথা আমি এদের বাড়িতে এব। আগে অনেক শুনেচি-জ্যাঠামশায়ের ঘরে তঁার একটা বড় বাধানো ফটোগ্রাফ দেখেছিলাম-গুকদেব চেয়ারে বসে আছেন, জ্যাঠামশায় ও জ্যাঠাইমা দুজন দু-দিকে মাটিতে ব’সে। তঁরা পায়ে পুষ্পাঞ্জলি দিচ্চেন। অনেক দিন থেকে ছবিখানা দেখে গুরুদেব সম্বন্ধে আমাব মনে একটা কৌতুহল হয়েছিল-কিরকম লোক একবার দেখবার বড় ইচ্ছে হ’ত । স্টেশনে তঁাকে আনতে লোক গিয়েছিল--একটু বেলা হ’লে দেখি দাদা এক ভারী মোট আগে আগে আসচে-পেছনে ব্যাগ-হাতে জ্যাঠামশায়দের কুষাণ নিমু গোয়ালা। গুরুদেব মুখের চেন, রং কালো, মাথার সামনের দিকে টাক-গাযে চাদর, পায়ে চটি। আমার মৃত্তির দে। DDuB DBBBBB DBDBB BDB BD DBBD DDDDYS LLLDBDB DD আজ জন্যে তাদের মধ্যে কাডাকাড়ি পড়ে গেল। আমি এগিয়েও গেলাম না, পায়ের নিয়ে নিলাম না। জ্যাঠাইমা গুরুদেবের পা নিজের হাতে ধুইয়ে আঁচল দিয়ে মুছিয়ে দিলেন, ৮। মায়া বাতাস করতে লাগলেন-ছেলে-মেযোৱা তাকে ঘিরে দাড়িয়ে রইল, তিনি সেজখুড়ীমাকে জিজ্ঞেস করলেন-বেীমা, ছেলের তোতলামিটা সেরেচে ? মেজখুড়ীমাকে বললেনগোষ্ঠ ( মেজকাকার নাম ) আজকাল কি বাদার কাছারী থেকে গরমের সময় একদম আসে। না ?•••কতদিন আগে এসেছিল বললে ? বাড়ির ছেলেমেয়েদের একে ওকে ডেকে মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করলেন, দু-একটা কথা জিজ্ঞেসও করলেন-কিন্তু দাদা যে অত বড় ভারী মোট বয়ে আনলে স্টেশন Gr-e সেইখানে দাড়িয়ে-তাকে একটা মিষ্টি কথাও বললেন না । আমার রাগ হ’ল, তিনি কি ভেবেচেন দাদা বাড়ির চাকর ? তাও ভাবা অসম্ভব এইজন্যে যে, ওখানে যতগুলো ছেলেমেয়ে a