পাতা:দৃষ্টিপ্রদীপ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছাত্রবৃত্তির কথায় আমার মতিলালের উটের কবিতাটি মনে পড়ল। আমি বললামYz D DDBDB BB BDDS BDDS BD D DBD BDL zDDS LLLLLL বিয়ে দেওয়া আমার মন সরে না। সীতার মত মেয়ে, আপনি বলুন না জ্যাঠামশাই ? জ্যাঠামশাই নিজের কথার প্রতিবাদ সহ করতে পারেন না-তিনি এ অঞ্চলের মানী ব্যক্তি, আগের চেয়ে বিষয়-আশয় টাকাকড়ি এখন তঁর আরও বেশী, এদিকের সব লোক তাকে খাতির করে চলে, কেনই বা তিনি প্ৰতিবাদ সহ করবেন ? সে জানি এ গায়ের রাম ধাডুষ্যের ব্যাপারে। রাম বাড়ুষ্যে কি জন্যে রাত্রে আফিম খেয়ে শুয়েছিল- সকালে উঠে খবর পেয়ে জ্যাঠামশায় গেলেন। রাম বঁাডুয্যে ছিল জ্যাঠামশায়ের খাতক । জ্যাঠামশায় গিয়ে কড়া সুরে বললেন-কি হয়েচে রাম ? রাম বঁাডুয্যে তখন কথা বলতে পারচো নাজ্যাঠামশায়ের কথার উত্তর সে দিতে পারল না। জ্যাঠামশায় ভাবলেন, বাড়িয্যে তঁর প্রতি অসম্মান দেখিয়ে ইচ্ছে করেই কথার উত্তর দিচ্চে না । বললেন-ভাল ক’রে কথার উত্তর দাও-কার সামনে কথা বলচ জন না ? সঙ্গের সব লোক বললে-হঁ, কৰ্ত্ত যা বলচেন, জবাব দাও ওঁর কথার। কিন্তু রাম বাড়ুষ্যে জ্যাঠামশায়ের চােখরাঙানির চৌহদ্দি পার হয়ে চলে গেল ঘণ্টা দুইয়ের মধ্যেই-কি জন্যে সে আফিম খেয়েছিল। কেউ জানে না-তার মৃত্যুর পরে জ্যাঠামশায় তার ভিটেমাটি বিক্ৰী ক’রে নিয়ে নিলেন-তার বিধবা স্ত্রী নাবালক একটি মাত্র মেয়ের হাত ধরে ভাইদের দোরে গিয়ে পড়লো। আমি যোবার ম্যাট্রিক দিই, সে বছরের কথা । আমার কথার উত্তরে জ্যাঠামশায় আমায় অনেকগুলো কথা শুনিয়ে দিলেন । আমাদের এদিক নেই, ওদিক আছে। রাজামহারাজাদের ঘরে বোনের বিয়ে দেবার ইচ্ছে থাকলেই তো হত্য না, পয়সা চাই । পনের-ষোল বছরের মেয়ে গ্রামে সমাজের মধ্যে বাস করতে গেলে আর ঘবে রাখা চলে না। তা ছাড়া তিনি কথা দিয়ে ফেলেচেন-তাঁর কথার মূল্য আছে ইত্যাদি। জ্যাঠামশায়দের বাড়ির জীবনযাত্রার ধারা সেই পুরোনো দিনের মতই চলেচে । এখানে এলেই বুঝি এদের মন নানা দিক থেকে কত ভাবে শুঙ্খলিত। বাডিতে এতটা জমি রয়েচে, ঠাকুরপূজার উপযোগী ছোট্ট একখানা গাঁদা ও করবী ফুলের বাগান ছাড়া আর কোথাও একটা ফুলের গাছ নেই। উঠোনের কোন জায়গায় এরা কোথাও একটু সবুজ ঘাস রাখবে নামেজকাকার কাজ হচ্চে এতটুকু কোথাও ঘাস গজালে তখনি নিজের হাতে নিড়েন ধরে উঠিয়ে ফেলা। প্ৰকাণ্ড উঠোন চাচাছোলা, সাদা মাটি বার করা, সবুজের লেশ নেই। ব’লে দেখোঁচি এরা তা বোঝে না। সামনের উঠোনটা লাউ-মাচা, পুই-মাচায় ভরা-প্ৰত্যেক জায়গাটুকুতেই তরকারি লাগিয়েচে, নয়ত মান-কচুর ঝাড়। একদিন জ্যাঠামশায়ের ছেলে হারুদাকে বললাম-আমি শ্ৰীরামপুর থেকে ভাল মরসুমী e