পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

“তোমার পিতা পার্শ্বের কক্ষে তোমার জন্য অপেক্ষা করিতেছেন। এখন তুমি যাইতে পার।”

 রুকিনা বেগম, আনারের চিবুকখানি ধরিয়া আদর করিয়া বলিলেন—“যদি আমার সুজার বৌ করিতে হয়, তোমার মতই সুন্দরী বৌ করিব।” এই কথা বলিয়া হাসিভরা মুখে—রুকিনা বিবি, অপর কক্ষ মধ্যেস্থিত তাঁহার অন্যান্য আত্মীয়াদের নিকট চলিয়া গেলেন।

 বলা বাহুল্য—সুজা বেগ্ আনারকে তাহার পিতার নিকট পৌছাইয়া দিলেন। এমন কি দ্বার পর্য্যন্ত আসিয়া, তাহাকে ও তাহার পিতাকে আপ্যায়িত করিয়া, গাড়ীতে তুলিয়া দিয়া গেলেন।

 আনারের পিতা—দেখিলেন চিরদর্পিত, ঐশ্বর্য্যাতিমানী নূতন নবাব এবার যেন তাঁহাকে একটু বেশী খাতির যত্ন দেখাইতেছেন। আরও দুই তিনবার তিনি এই নবাব পরিবারের এই প্রকার বাৎসরিক নিমন্ত্রণে আসিয়াছিলেন। খাতির যত্ন হইয়াছিল খুব। কিন্তু এবার যেন—আপ্যায়নের মাত্রাটী ষোলোর উপর আঠারো আনায় আসিয়া পৌছিয়াছে।

 বলা বাহুলা-আনার তাহার কণ্ঠের সেই রত্নহার ছড়াটী তাহার ওড়না দিয়া ঢাকিয়া ফেলাতেই, আনারের পিতা জামাল খাঁ, এ রত্নহার সম্বন্ধে কিছুই জানিতে পারেন নাই। জানিলে বোধ হয় তিনিও তাঁর কন্যার ন্যায় আরও বিস্মিত হইতেন।