পাতা:দেওয়ানা - হরিসাধন মুখোপাধ্যায়.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেওয়ানা

সংসার চালাইতেছে, তাহা দেখিবার জন্য তাহার বড়ই একটা ঔৎসুক্য জন্মিল। এই জন্য সে এক সপ্তাহের অবসর লইয়া চুপি চুপি আগরায় আসিয়াছে।

 জামাল খাঁর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া, মীর লতিফ্‌ আনারউন্নিসার সম্বন্ধে সকল সংবাদই পাইল। নবাব-পত্নী হইবার একমাস মধ্যেই, আনার নবাব সুজাবেগের প্রাসাদতুল্য ভবনে চলিয়া গিয়াছে। তাহার চেষ্টায় যত্নে, পত্নীর কর্ত্তব্যে, নবাব সুজা বেগ এখন কলুষিত স্বভাব ত্যাগ করিয়াছেন। দুষ্ট লোকের সাহচর্য্য বিসর্জ্জন করিয়াছেন। আর আনারের শৃঙ্খলায় ও সুব্যবস্থায়, নবাবের সংসারে একটা নূতন সৌন্দর্য্য ফুটিয়া উঠিয়াছে।

 কথাগুলি শুনিয়া, মীর লতিফের বুকটী যেন দশ হাত স্ফীত হইয়া উঠিল। সে মনে মনে বলিল—“আনার! তোমাকে আজও আমি ভালবাসি। স্বার্থত্যাগেই ভালবাসার মহত্ত্ব। তুমি সুখে আছ, ইহা শুনিয়া যে আমার সুখ! তুমি চিরদিন এইরূপ সুখে থাক, ইহাই আমার কামনা। আমি জানি খোদা তোমাকে অপূর্ব্ব স্পর্শমণিরূপে সৃজন করিয়াছেন। যে তোমার সাহচর্য্যে আসিবে, সে পিতল হইলেও সোনা হইবে।

 সে মোটে সাতটী দিন আগরায় থাকিবে। কিন্তু এর মধ্যে একবার আনারের সঙ্গে তাহাকে সাক্ষাৎ করিতেই হইবে। এই ইচ্ছাটা সে কোন মতেই দমন করিতে পারিল না।

 জামাল খাঁর নিকট বিদায় লইয়া সে মনে ভাবিল—“নবাব

১৫৭