তোমায় বলিয়া রাখি—“আমার জীবন থাকিতে তুমি নবাব সুজাবেগকে কোন মতেই পাইবে না।”
বাহারবানু তাহার কথাগুলি শেষ করিয়া, অতি দ্রুতপদে সেই কক্ষ ত্যাগ করিয়া পুরীর বাহিরে চলিয়া আসিল। আনার উন্নিসা, তাহার কথাগুলি শুনিয়া অন্তরে কাঁপিয়া উঠিল। আর কোন কিছু বলিবার অবসর পাইল না। দূর্ভাগ্য ক্রমে জয় পরাজয়ের কঠোর সংগ্রামে, বার বার তিনরার তাহার বাজি হার হইল।
অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ।
বহুদিন আমরা মীর লতিফের কোন সংবাদ পাই নাই। একবার তাহার সহিত আমাদের সাক্ষাৎ করিতে হইবে।
সাধু ফকির জুম্মাশার উপদেশে, বহুদিনের সুখময় স্মৃতিকে বিস্মৃতির অনলগর্ভে নিক্ষেপ করিয়া, সে অতি দূর দেশে চলিয়া গিয়াছিল।
আনারকে দেখিবার জন্য, তাহার মনে খুবই একটা উৎসুক্য জাগিয়া উঠিল। সে ঔৎসুক্য—সে কোন মতেই দমন করিতে পারিল না। সেই আনার উন্নিসা—এখন না জানি দেখিতে কেমন সুন্দর হইয়াছে, তাহার রূপপ্রভা দশদিক আলো করিয়া, প্রভাত সূর্য্যকিরণের মত চারিদিকে কতই না জ্যোতি ছড়াইতেছে, একটা বৃহৎ সংসারের গৃহিণীরূপে সে কি ভাবে