সহরের বিলাসিনীশ্রেষ্ঠা, নামজাদা গায়িকা, বাহারবানুর নাম শুনিয়াছ ত?
আনার। শুনিয়াছি বই কি?
জুমেলি। উনিই সেই বাহারবানু!
আনার এই কথা শুনিয়া, বিস্মিতনেত্রে জুমিলির মুখের দিকে চাহিয়া বলিল—“বাহারবানু! অত রূপ! অত মিষ্ট কথা! তাহা হইলেও ঘোর শয়তানী!”
জুমেলি। কেন?
আনার। ও সব দরের বিলাসিনী নারী, পরের অর্থ শোষণ করা যাদের ব্যবসায়, পরের সর্ব্বনাশে যারা সিদ্ধ হস্ত, তারা কি কখনও ভাল হয়?
জুমেলি এবারও ঠকিল। আনার যে ভিতরের সব কথা গোপন করিয়া, তাহাকে বাজে জবাব দিতেছিল, তাহা সে বুঝিল না। সুতরাং বলিল—“সত্যই তাই।”
আনার। ঐ রূপসী যে সত্যই বাহারবানু, তা তুই জানিলি কিরূপে? তোর ত ভ্রম হইতে পারে।
জুমেলি। কখনই না। তুমি যখন রূপসী বাহারের সঙ্গে কথা কহিতেছিলে, তখন আমি উহার বাঁদীর সহিত আলাপ পরিচয় করিতেছিলাম। তোমাকে নিবিষ্টচিত্তে কথোপকথন করিতে দেখিয়া, আমি এখানে আসিলাম না। উহার বাঁদীও উহার জন্য একটু দূরে অপেক্ষা করিতেছিল।”
আনার ক্ষীণ হাস্তের সহিত বলিল— “যাই হোক্ মেলায়
৬৪