পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনৰ ভারত দর্শন । শরীর যেন অবশ হইয়া আসিতেছে। মা ! ভারতভূমি । আর কতকাল তোমার সেই প্রিয়পুত্ৰগণের তুর্দশ দর্শন করিয়া, মনের আগুনে জ্বলিয়া মরিব ? আর কতকাল সমাজ অন্ধ থাকিবে ? হায় ! আমার মৰ্ম্মান্তিক যাতনা কি, তবে আর বিদূরিত হইবে না ! কিয়ৎকাল এইরূপ চিন্তার পর, নারায়ণ পুনরায় ভাবিতে লাগিলেন,—হায় ! পণ্ডিতগণ বহু পরিশ্রম পূর্বক শাস্ত্রাধ্যয়ন করিলেন, বিবিধ জ্ঞান-গৰ্ভ উপদেশ দ্বারা সমাজের সজীবতা রক্ষা করিলেন, অবশেষে গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য গৃহে গৃহে প্রার্থী হইলেন । র্যাহারা সমাজের রক্ষক, তাহারা হলেন ভিক্ষুক ! কিন্তু হায়! যদি ভিক্ষাব্রতাবলম্বনেও,তাহাদের উদর পূর্ণ হইত, তবে তাহারা কৃতাৰ্থম্মন্য হইতেন ! “দারিদ্র্য দোষো গুণরাশিনাশী”,—পণ্ডিতগণ দরিদ্র, এই হেতু তাহারাও গ্রাম্য দেবতার দলভূক্ত হইয়া, মাতৃভূমির বক্ষঃস্থলে শেল বিদ্ধ করিতেছেন এবং স্বার্থ-পরতা,নীচাশয়তা ও স্ত্ৰৈণত প্রভৃতি ঘৃণিত ভাব দ্বারা পরিচালিত হইয়া, একটি অদ্ভূত পদার্থরূপে পরিণত হইয়াছেন। হায় ; এই পণ্ডিত সমাজ উন্নত না হইলে, ভারতীয় সমাজের পুনর্গঠন অসম্ভব এবং কল্যাণের আশাও চুরাশ মাত্র। হায়! মা! যে দেশের লোক পণ্ডিতগণের সম্মান করিতে কুষ্ঠিত এবং যে দেশের পণ্ডিতগণ ভিক্ষুক,—সে দেশের উন্নতি যে কিরূপে হইতে পারে, তাহ আমারও বুদ্ধির অগম্য } >姆8