পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । জন ছিল না, কোনও আড়ম্বর ছিল না বটে, কিন্তু অমিয় প্রেমের আধার, সুখের প্রস্রবণ, প্রীতির নিঝর, প্রণয়ের খনি, তাশার প্রতিম, রমণীর মণি, চিন্তামণি র্তাহার ছিল ; ফুলের হাসি, চাদের আলো, শিশুর সরলতা, প্রেমের প্রাণ-দান, তাহার গৃহে ছিল ; প্রফুল্ল কমলবৎ শোভমান কন্যাদ্বয়,—সুখদা ও মোক্ষদা, পিতৃ গৃহের সুখ আরও বৃদ্ধি করিয়াছিল ; তাহার গৃহে দান ছিল, ধ্যান ছিল, গো-সেবা, ব্রাহ্মণ-সেবা ও অতিথি-সেবা ছিল ; জগৎজ্যোৎস্না, বিশ্ববাসন, পতিপ্রাণ রমণীর আকুল ক্ৰন্দন ও বিনীত প্রার্থন ছিল ; স্ত্রীজাতির আদরের আভরণ,—শাখা ও সি দূরের আদর ছিল ; অলঙ্কারের জন্য পতি-পীড়ন ছিল না ; কোন্দল ও কলহ ছিল না ; কপটতা ও কুটিলতা ছিল না ; কোনও অভাবের অভিযোগ ছিল না ; অহঙ্কার ও অভিমান ছিল না ; আহা ! মর্ত্যলোকে স্বগের ছবি, কেহ দেখিতে চাহিলে, এই গৃহে আসিলেই, তাহার সে বাসন পূর্ণ হইত ! নারায়ণ ভাবিলেন, এই নিশীথ সময়ে, এই ভূলোক-বাসিদেব-দেবীর চরিত্র পরিদর্শন করিলেন । তখন প্রকৃতি নীরব ও নিস্তব্ধ ; নারদ ও গণেশ ভগবানের উপাসনায় নিমগ্ন । এই সময়, নারায়ণ অলক্ষ্যভাবে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের শয়ন গৃহে উপস্থিত হইলেন। সেই গুহে মিটি মিটি আলো জ্বলিতেছিল। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় নিদ্রিত ছিলেন ; চিন্তামণি র্তাহার পার্শ্বে বসিয়া, তাহাকে ব্যজন করিতে করিতে ভাবিতে ছিলেন —“নারায়ণ, মধুসূদন, এ দাসীকে আবার কি বিপদে ফেলিলে ! আমার হৃদয়-সর্বস্ব, やり>