পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । কঁদিয়া ফেলিল ! “কেঁদন, বোন, কেঁদনা ; জন্ম-এয়ে, জন্ম-সুখে থাক ; আমার জন্য র্কাদে, এমন লোক কি সংসারে কেহ আছে! যাও, বাড়ী যাও, সুখে থাক,” এই বলিয়া, বৃদ্ধ জলের কলসীটি লইয়া, আস্তে আস্তে বাড়ী আসিলেন; চারটি ভাতে ভাত রাধিয়া, উদরপূর্ণ করিলেন ; পরে কঁাপিতে কঁাপিতে, নিজেই পাথর ও কড়াখানা পুকুর হইতে ধৌত করিয়া আনিলেন ! ক্ষান্তমণি নিদ্রা হইতে উঠিয়া, বৃদ্ধার রন্ধন-গৃহে একবার, উকি মারিল ; একটুকু ব্যঙ্গ করিয়া বলিল, “এখনও ভূগোচ্ছব’ হয়নি ? গতরখাকীর সোহাগ যেন দিন দিন বাড়ছে।” বৃদ্ধ৷ নিঃশব্দে একদিকে চলিয়া গেলেন । বিশ্বনাথ পণ্ডিতও নিদ্রা হইতে উঠিলেন। ক্ষান্তমণি বলিল, “ওগে, ভাল একটি কথা মনে পড়েছে,--আমার সইএর বাড়ী যে ডাল দিতে হবে, পাচটি টাকা দাওনা গা ?” “টাকা ত নাই,” এই কথা বলিয়া, বিশ্বনাথ তামাক খাইতে লাগিলেন । “আমি চাইলেই, মিনসের টাকা থাকে না, পয়সা থাকে না, উনি ফকির হন ; মিন্‌সের ভাব চরিত্র দেখে, গা জ্বলে যায় আর কি!” এই বলিয়, ক্ষান্তমণি রুদ্র-মুক্তি ধারণ করিল। গৃহিণীর ভাব দর্শনে ভীত হইয়া, বিশ্বনাথ তাড়াতাড়ি হু কাটি রাখিয়া, বলিলেন, “রাখ তবে, বেণেদের ঘর থেকে, ধার ক’রে এনে দিচ্ছি ” ক্ষান্ত টাক পাইয়া, শান্ত হইল । নারায়ণ মনে ভাবিলেন, “এই এক বাটীতেই সমস্ত দিন যাপন করিলাম ; অন্য বাটীর গৃহিণীগণের অবস্থা একবার দেখে

  • *