পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিরজাপুর >(r> দেড়শত আন্দাজ সিড়ি অতিক্রম করিয়া তবে উপরে উঠিতে হয় । দেবগণ ক্রমে যাইয়া উপস্থিত হইলেন এবং সংহারমায়ার ভয়ঙ্করী মূৰ্ত্তি সভয়ে দেখিতে লাগিলেন । নারায়ণ কহিলেন, “মুখের ই টা দেখ, যেন একটা ছোট খাট পৰ্ব্বতের গহবর !” বরুণ । পিতামহের স্মরণ থাকিতে পারে—এক সময় শুম্ভ নিশুম্ভ দৈত্য সদলে স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য পাতাল অধিকার করিয়া দেবগণের প্রতি অত্যন্ত অত্যাচার আরম্ভ করিলে আমরা ভগবতীর শরণ লই । দেবী আমাদিগকে অভয় দিয়া মোহিনীবেশে গুস্ত দৈত্যের উদ্যানে আসিয়া দেখা দেন । এই স্থানে সেই উদ্যান ছিল। ধূম্রলোচনের মুখে সে রূপের কথা শুনিয়া দৈত্যবংশ পতঙ্গবৎ রূপবহ্নিতে গা ঢালিতে থাকে। যে মূৰ্ত্তিতে ভগবতী শুম্ভকে সংহার করেন, এই সংহারমূৰ্ত্তি সেই মূৰ্ত্তি। এই কথা শ্রবণে দেবগণের শরীর রোমাঞ্চিত হইল । তাহার দেবীকে বারংবার প্রণাম করিয়া স্তব করিতে লাগিলেন । এখান হইতে বিদায় হইবার সময় পদ্মযোনি মন্দিরের সন্নিকটে একটি স্থান দেখিয়া বরুণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বরুণ ! এ স্থানটি কি ?” বরুণ। উহ নাথজী নামক এক সাধুর সমাধিস্থান। এই স্থানে অদ্যাপি কেহ কেহ বরাহ বলি দিয়া থাকে। উক্ত সাধু যে স্থানে বসিয়া তপস্তা করিতেন, ওদিকে দেখুন সে স্থানও বর্তমান। ঐ স্থানটি ঠিক বিক্রমাদিত্যের বত্রিশ সিংহাসনের দ্যায়। ঐ স্থানে বসিয়া কেহ কখনও তপস্তা করিতে পারে না। কয়েকজন বসিয়া তপস্তা করিবার চেষ্টা করে, তন্মধ্যে একজন উন্মাদরোগগ্রস্ত হয়, অপরের সাংঘাতিক পীড়। জন্মে, আর একজন একটী প্রকাও সৰ্প দেখিয়া ভয় পায় । দেবগণ বিন্ধ্যাচল হইতে নামিয়া ধীরে ধীরে নগরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং আহারাদি করিয়া অসংখ্য অট্টালিকা, বাজার, হাট দেখিতে দেখিতে সন্ধ্যার পর ষ্টেশনে আসিয়া বাকীপুরের টিকিট হইয় ট্রেণে