২৯৬ দেবগণের মর্ত্যে আগমন সম্পত্তি আছে এবং ইহার যুদ্ধে আজিমগঞ্জে পরেশনাথের একটা দেবালয় আছে। তদ্ভিন্ন ধনপৎ সিং নিজব্যয়ে এখানে একটা বিদ্যালয় স্থাপিত করিয়াছেন। ঐ বিদ্যালয়ে গরিব ছাত্রদিগকে মাসিক পাঁচটাকার হিসাবে বৃত্তি দিয়া বিদ্যা দান করা হইয়া থাকে। ইহঁার একান্ত ইচ্ছা কাপড়, তৈল, ময়দা প্রভৃতির কল চালাইয়া দেশে স্বাধীন ব্যবসা প্রচলিত করেন। এখান হইতে সকলে ভাগীরথীতীরে উপস্থিত হইয়া দেখেন—ভাগীরথী যেন নুগরের শোভা সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হইয়া নগরীকে দ্বিখণ্ডে বিভক্ত করিয়া কল কল শব্দে নৃত্য করিতে করিতে ছুটিতেছেন। দেবতারা ঘাটে উপস্থিত হইবামাত্র অনেকগুলি বাঙ্গাল মাঝি নিকটে ছুটিয়া আসিল এবং কহিল *আইসেন বাবু, আমার লায়ে আইসেন। ছয় আন ভার৷ নিমু, বহরমপুরে চড়ায়ে লয়ে যাইমু; কোন কষ্ট অইবে না।” নারা । বরুণ ! পরপারে দেখা যাইতেছে—ও স্থানের নাম কি ? , বরুণ। উহার নাম জিয়াগঞ্জ। আজিমগঞ্জ ও জিয়াগঞ্জে কেঁয়েরাইবাস করিয়া থাকে। উহারা সকলেই প্রায় সঙ্গতিশালী লোক এবং প্রত্যেকেরই গৃহে প্রায় এক একটা প্রস্তরের পরেশনাথ আছে। দেবগণ ঘাটে স্বান সারিয়া খেয়ায় পার হইয়া পরপারে যাইয়া দেখেন দোকানে নানাপ্রকার উত্তম উত্তম খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় হইতেছে। র্তাহারা একটা দোকানে যাইয়া মনের সাধে এক পেট ছানাবড়া খাইয়া বিশ্রাম করিতে লাগিলেন। বরুণ কহিলেন “এখানকার চেলির কাপড় বড় বিখ্যাত । চেলিতে হাতী, ঘোড়, সেপাই প্রভৃতির প্রতিমূৰ্ত্তিগুলি সুন্দরূপে থাকে। ঐ বালুচরের চেলি কুৎসিত স্ত্রীলোককেও পরাইলে সুন্দরী দেখায়।” . নারা । বরুণ ! আমাকে কতকগুলো চেলি কিনে দেও ! মৰ্ত্ত্যে তিন দিনের মিয়াদে আসিয়া যেরূপ কালবিলম্ব করিতেছি, আমার কপালে বিস্তর কষ্ট আছে। তবু চেলি টেলি দিয়াও যদি মন যোগাতে পারি। বরুণ এ কথায় সম্মত হইয়া নারায়ণকে কতকগুলি চেলি খরিদ করিয়া
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৪০
অবয়ব