898 দেবগণের মর্ত্যে আগমন শুদ্ধ বার্ষিক আয় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ; ইহার মধ্যে ৩২ লক্ষ ৪৯ সহস্ৰ টাকা ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টকে কর দিতে হয়। পাণ্ডিত্য, বীরত্ব, দয়া, দাক্ষিণ্য, দেশহিতৈষিতা, পরোপকারিত প্রভৃতি বরণীয় গুণপুঞ্জে যে সকল মহানুভব পুরুষ ও রমণীরত্ব এই বংশের মৰ্য্যাদা বৃদ্ধি করিয়া গিয়াছেন, তন্মধ্যে মহারাজ। কীৰ্ত্তিচন্দ্র, মহারাজা তেজচন্দ্র, মহারাজা তিলকচন্দ্র, মহারাণী বিধণকুমারী, মহারাণী শোভাকুমারী, মহারাণী নারায়ণকুমারী, মহারাজা-মহাতাপ চাদ সৰ্ব্বপ্রধান । মহারাজ মহাতাপচাদ ইংরাজী, বাঙ্গালা, পারস্ত এবং ংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন এবং ভারতবর্ষের গবর্ণর জেনারেল বাহাদুরের ব্যবস্থাপক সভায় ইংরাজী ১৮৬৪ অবে ইনিই সৰ্ব্বপ্রথম দেশীয় সভ্য নিৰ্ব্বাচিত হয়েন মহাতাথ বাহাদুরের কীৰ্ত্তিপুঞ্জের মধ্যে গোলাপবাঘ, মহাতাপ মঞ্জিল, বালিকা বিদ্যালয়, দেলখোস, ইংরাজী বিদ্যালয়, দেওয়ানী খাস, দাতব্য ঔষধালয়, মতিঝিল, মাদ্রাসা প্রভৃতি প্রধান । ইহঁর অমুমতানুসারে এবং প্রভূত ব্যয়ে সংস্কৃত মহাভারত ও রামায়ণ এবং বহুবিধ পারস্ত ও প্রধান হিন্দুশাস্ত্র বঙ্গভাষায় অনুদিত হয় এবং তদ্ব্যতীত নানাবিধ সংগীতগ্রন্থ প্রচারিত হইয়া বিনামূল্যে সাধারণ্যেবিতরিত হয়। মহাতাপ চাদ বাহাদুরের অসংখ্য কীৰ্ত্তি ও বদান্ততার কথা অল্প সময়ের মধ্যে বিবৃত হওয়া অসম্ভব মহাতাপচাদ বাহাদুর ইংরাজী ১৮৭৮ অব্দে ভাগলপুরে কলেবর ত্যাগ করেন, তখন তাহার বয়স ৬২ বর্ষ মাত্র । ইহঁর মৃত্যুর পর আফতাফৰ্চাদ বাহাদুর রাজ্যে অভিষিক্ত হন। ইহঁার সময়ে পাবলিক লাইব্রেরি, রাজকলেজ, অন্নসত্ৰ, ছাত্রাশ্রম এবং বহুসংখ্যক দেবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। আফতাফ চাদ ১৮৮৩ অব্দে প্রায় ২৬ বর্ষ বয়ঃক্রমে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এই অল্পকালমধ্যে ইনি বহুবিধ কীৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া গিয়াছেন। ইহঁার রূপবতী ও গুণবর্তী সহধৰ্ম্মিণী (মহারাণী বিনোদেয়ী দেবী ) ১২৯৫ সালের জ্যৈষ্ঠ মাসে পরলোক গমন করিয়াছেন ; এরূপ তেজস্বিনী রমণী এদেশে আর কখন জন্মগ্রহণ করেন নাই বলিলে বোধ হয় অত্যুক্তি হয় না। আফতাফৰ্চাদের