পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৭০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন ইন্দ্র । বরুণ! আমরা দেবতা হইয়া মর্তে কি বেশে ভ্রমণ করিতেছি, স্বর্গে দেখাইবার জন্ত কয়েকখানি চেহারা তুলে নিলে হয়। কি বলেন ঠাকুরদা ? : ব্ৰহ্মা । হানি কি ? একত্র সব কয়জনের তুলে দেয় ? বরুণ। দেবে না কেন ? “তবে লও° বলিয়া পিতামহ হাস্ত করিতে করিতে কহিলেন, “নারায়ণ! বংশী হাতে ত্রিভঙ্গবেশে হাটে রাজারে ত বিস্তর বিক্রয় হইতেছ, অতএব তোমারও চেহারা কি তুলে নিতে হবে ? নারা । হংসোপরি চতুৰ্ম্মথেরও বাজারে অসদ্ভাব নাই , অতএব তিনি যখন নিচ্চেন, আমি ন নেব কেন ? সকলে বাটীর মধ্যে প্রবেশ করিয়া দর দস্তুর ঠিক করিলে একজন সাহেব আসিয়া দেবগণকে একটা অন্ধকার ঘরে লইয়া গিয়া বসাইল । পিতামহ গৃহমধ্যে প্রবেশ করিয়া কহিলেন, “বরুণ ! অন্ধকারে আমার বড় ভয় হ’চ্চে, চেহারা তোলায় কাজ নাই—পলাই চল ।” উপ কহিল, “কর্তা-জেঠা ! সাহেবট কি ক’বৃচে দেখি।” বলিয়া একবার উঠে দাড়ায়, একবার বসে উকি মারে। সাহেব ছুটিয়া আসিয়া উপকে কহিল, “তুমি বড় চঞ্চল বালক, স্থির হয়ে বোসো, নচেৎ চেহারা খারাপ হবে।” সাহেব বহির্গত হইলেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে দেবগণ স্ব স্ব চেহারার প্রতি চাহেন আর হাস্ত করেন । উপ একবার চেহারা দেখে আর নারায়ণের প্রতি 5ß | নারা । কি দেখছিস্ ? উপ। । এর ত ঠিক একেছে। বাজারে বেটার ঠাকুর কাকাকে বাছুরে ক’রে অীকে কেন ? ব্ৰহ্মা। এত অল্প সময়ের মধ্যে এমন সুন্দর আঁকূলে কেমন ক’রে ? বরুণ। আজ্ঞে—কলে ।