কলিকাতা අNණ් সাদাটা উপগ্র, রাঙ্গাটা দেবরাজের । উহার মধ্যে যাহারট এখম হইবে, সে পঞ্চাশ কি একশত টাকা বাজী জিতিবে । ব্রহ্মা। বরুণ ! বাসায় চল । আজ আর নগর ভ্রমণে কাজ নাই । আমাকে বাসায় যাইয়া আবার অবগাহন করিতে হইবে । “তবে চলুন" বলিয়। বরুণ দেবগণকে লইয়া বাসাভিমুখে চলিলেন। যাইতে যাইতে সকলে দেখেন—দুইজন হিন্দুস্থানী তাহাদের নিকট দিয়া যাইতেছে ; তন্মধ্যে একজনের শরীর জীর্ণ শীর্ণ রুক্ষ, তাহার পরিধেয় বস্ত্রখানি অত্যন্ত ময়লা । অপরের শরীরটি বেশ নাকুল মুছল, জাকালো রকমের ভুড়ি ; ইহার পরিধেয় বস্ত্রখানি পরিষ্কার, গলদেশে কতকগুলি মোহর মালা করিয়া ধারণ করিয়াছে । প্রথম ব্যক্তি কহিল “আপনি দেশে যাইয়া কি করিবেন ?” দ্বিতীয় ব্যক্তি কহিল “আমি যে সংস্থান করিয়া লইয়া যাইতেছি, দেশে যাইয়া সদাগরি করিয়া তদ্বারা এমন সংস্থান করিব যে, আর যেন আমার পুত্র পৌত্রের মধ্যে কাহাকেও বাঙ্গালায় আসিয়া চৌবেগিরি করিতে না হয়। বোকা বাঙ্গালীরা কি সংস্থান কবিতে জানে ? আমি একটি লোটা ও একগাছি লাঠি সম্বল করিয়া আসিয়া সেই লোটাটি মোহরে পূর্ণ করিয়া চলিলাম।” প্রথম কহিল “আমিও লোটা সম্বল করিয়া এদেশে আসিয়াছি । এক্ষণে কি উপায়ে সঞ্চয় করিতে হইবে শিখিয়ে দেন।” দ্বিতীয় কহিল, “তুমি একটা পল্পীগ্রামে যাইয়া কোন জমীদারের বাটিতে খোরাক পোষাক ও দুটাক আড়াই টাকা বেতনের একটি চাকরী লওগে । তথায় দুই এক মাস কাজকৰ্ম্ম করিয়া দু’চার টাকা যাহা পাইবে, তত্ত্বারা রুগ্ন গুরু একটা গাইগরু খরিদ করির প্রত্যহ নিজ হাতে ঘাস ছুলে খাওয়াবে এবং আর ছু এক মাস চাকরী করির যে টাকা হইবে, তাহ বাবুর যত চাব প্রজাদের কৰ্জ দিতে থাকিবে ; এবং মাল মাস জুদ আদায়ের সময় উহাদের দ্বারে