পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেকগণের মর্ত্যে আগমন বাড়ীতে নাকি হাতীতে নেদে গিয়েছে ?” কেহ বলে “হ্যাগ পদোর মা ! এবার হয় ত তোমাকেই হাতিতে উঠতে হবে।” এইরূপ ব্যঙ্গ করাতে ইহার ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে এক দিন রজনীযোগে বাড়ীম্বর ফেলে প্রয়াগে এসে মুদিখানার দোকান খুলে বাস করিতেছে । “পদোর জীবনচরিত মন্দ নয়” বলিয়া সকলে ষ্টেশনে যাইয়া দেখেন, টিকিট দিবার বিলম্ব আছে। ব্ৰহ্মা কহিলেন, “বরুণ, এলাহাবাদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ বল ।” বরুণ। এলাহাবাদ অতি প্রাচীনকালের বৃহৎ নগর । এখানে বাদসাহী মণ্ডাই, রাণীমণ্ডাই, কর্ণেলগঞ্জ, কীটগল্প, মুটগল্প প্রভৃতি অনেকগুলি পল্লী আছে। এখানে অনেক বাঙ্গালী বিষয়কৰ্ম্ম উপলক্ষে আসিয়া বাস করিয়া থাকেন । রাস্তাঘাট বেশ পরিষ্কার ও প্রশস্ত। এখানকার জলবায়ু স্বোস্থ্যকর। মাঘ মেলার সময় এখানে দূরদেশ হইতে অনেক সাধু মোহান্ত ও যাত্রী উপস্থিত হইয়া থাকে। ঐ সময় অনেক রাজা রাজড়া ধনী আসিয়া যোগদান করেন । মেলার সময় দ্রব্যাদি অত্যন্ত মহার্ঘ হয় । এই সময় টিকিট দিবার ঘণ্টা দিল । দেবগণ মিরজাপুরের টিকিট লইয়া ট্রেণে উঠিলেন । , মিরজাপুর ষ্টেশনে নামিয়া দেবতারা একটি প্রস্তরনিৰ্ম্মিত কেল্লার নিকট দিয়া চকের মধ্যে যাইয়া উপস্থিত হইলেন এবং অসংখ্য দোকান দেখিয়া সকলে স্নানার্থ জাহ্নবী অভিমুখে চলিলেন। ভাগীরথীতীরে উপস্থিত হইয়া দেখেন অনেকগুলি প্রস্তরনিৰ্ম্মিত বাধাঘাট রহিয়াছে । জলে অসংখ্য তরী ভাসিতেছে । তরীগুলির মধ্যে কোনখানির উপর মুসলমান মাজীরা বসিয়া সানখিতে ভাত খাইতেছে। কোনখানিতে “কড়, কড়" শব্দে পাল তুলিতেছে। কোনখানির অৰ্দ্ধ-উন্মুক্ত পাল বায়ুভরে লটাপট শব্দ করিতেছে। নারায়ণ একদৃষ্টি নৌকা দেখেন আর বরুণকে জিজ্ঞাসা করেন “এখানি এ আকারের কেন ? ওখানি ও আকারের কেন ?” বরুণ। "ইহার নাম পলোয়ার, উহার নাম ফুকনী” ইত্যাদি উল্লেখ করিয়া বুঝাইয়া দিতে লাগিলেন । $ 8b