পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । ১৪ই জুলাই, রবিবার । ভারতে দর্শনশাস্ত্রের অর্থ হচ্ছে- যে শাস্ত্র বা যে বিদ্যা দ্বারা আমরা ঈশ্বর সাক্ষাৎকার করতে পারি। দর্শন হচ্ছে ধৰ্ম্মের যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যাস্বরূপ । সুতরাং কোন হিন্দু কখন ধৰ্ম্ম ও দর্শনের ভিতর সংযোগসূত্র কি, তা জানতে চাবে না। দার্শনিক চিন্তাপ্রণালীর তিনটী সোপান আছে ৪-১ম, স্কুল বস্তুসমূহের পৃথক পৃথক জ্ঞান ( Concrete ) ; ২য়, ঐগুলিকে এক এক শ্রেণীতে শ্রেণীভুক্ত করা বা তাদের মধ্যে সামান্য আবিষ্কার করা (Generalised) ; ৩য়, সেই সামান্তগুলির ভিতর আবার সূক্ষ্ম বিচার দ্বারা ঐক্য আবিষ্কার করা ( Abstract ) { সমুদয় বস্তু যেখানে একত্ব প্ৰাপ্ত হয়, সেই চূড়ান্ত বস্তু হচ্ছেন সেই অদ্বিতীয় ব্ৰহ্ম | ধৰ্ম্মের প্রথমবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন প্ৰতীক বা রূপবিশেষের সহায়তা গৃহীত হয়ে থাকে দেখা যায়; দ্বিতীয় অবস্থায় নানাবিধ পৌরাণিক বৰ্ণনা ও উপদেশের বাহুল্য, সর্বশেষ অবস্থায় দার্শনিক তত্ত্বসমূহের বিবৃতি । এদের মধ্যে প্ৰথম দুটা শুধু সাময়িক প্রয়োজনের জন্য, কিন্তু দর্শনই ঐ সকলেরই মূল ভিত্তিস্বরূপ, আর অন্যগুলি সেই চরমতত্ত্বে পৌছুবার সোপান স্বরূপমাত্র । ~ufaಿ* * পাশ্চাত্য দেশে ধৰ্ম্মের ধারণা এই, বাইবেলের নিউ টেষ্টামেণ্ট ও খ্ৰীষ্ট ব্যতীত ধৰ্ম্মই হতে পারে না । য়াহুদীধৰ্ম্মেও মুশা ও প্রফেটদের সম্বন্ধে এই রকম এক ধারণা আছে। এরূপ ধারণার হেতু এই যে, এই সব ধৰ্ম্ম কেবল পৌরাণিক বৰ্ণনার উপর নির্ভর করে। প্ৰকৃত, সৰ্বোচ্চ ধৰ্ম্ম যা, তা এই সকল পৌরাণিক বৰ্ণনা ছাড়িয়ে ওঠে; সে ধৰ্ম্ম b^ම්