পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । কখন শুধু এদেরই উপর নির্ভর করতে পারে না । আধুনিক বিজ্ঞান বাস্তবিকই ধৰ্ম্মের ভিত্তিকে আরও দৃঢ় করেছে। সমুদয় ব্ৰহ্মাণ্ডটা বে। এক অখণ্ড বস্তু, তা বিজ্ঞানের স্বারা প্ৰমাণ করা যেতে পারে । দার্শনিক যাকে সত্য বলেন, বৈজ্ঞানিক তাকেই জড় বলে থাকেন ; কিন্তু ঠিক ঠিক দেখতে গেলে, এদের দুজনের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, কারণ, দুইই এক জিনিস। দেখনা, পরমাণু অদৃশ্য ও অচিন্ত্য, অথচ তাতে ব্ৰহ্মাণ্ডের সমুদয় শক্তি ও সামৰ্থ্য রয়েছে । বেদাষ্ঠীরাও আত্মা সম্বন্ধে ঠিক এই ভাবের কথাই বলে থাকেন । প্রকৃতপক্ষে সব সম্প্রদাঙ্কই বিভিন্ন ভাষায় ঐ এককথাই বলছেন । বেদান্ত ও আধুনিক বিজ্ঞান উভয়ই, জগতের কারণস্বরূপ এমন এক বস্তুকে নির্দেশ করছেন যা হতে অন্য কিছুর সাহায্য ব্যতীত জগতের প্রকাশ হয়েছে। সেই এক কারণই নিমিত্ত, এবং সমবায়ী ও অসমবায়ী উপাদান-কারণ সবই । যেমন কুম্ভকার মৃত্তিক থেকে ঘাট নিৰ্ম্মাণ করছে ; এখানে কুস্তকার হচ্ছে নিমিত্ত কারণ, মৃত্তিকা হচ্ছে সমবায়ী উপাদান-কারণ, আর কুম্ভকারের চক্ৰ অসমবায়ী উপাদান-কারণ। কিন্তু আত্মা এই তিনই। আত্মা কারণও বটেন, এলঃ অভিব্যক্তি বা কাৰ্য্যও বটেন । বেদান্তী বলেন, এই জগৎটা সত্য নয়, এটা আপাত প্ৰতীয়মান সত্তামাত্র । প্ৰকৃতি হচ্ছেন সেই ব্ৰহ্ম, কেবল অবিদ্যার মধ্য দিয়ে তাঁকে দেখা হচ্ছে। বিশিষ্টাদ্বৈতবাদীরা বলেন, ঈশ্বর প্রকৃতি বা এই জগৎপ্ৰপঞ্চ হয়েছেন ; অদ্বৈতবাদীরা বলেন, ঈশ্বর এই জগৎপ্ৰপঞ্চরূপে প্ৰতীয়মান হচ্ছেন বটে, কিন্তু তিনি ¢हे खत्रां९ नन् । M r