পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । দের তা খেতে হবে। তর্কযুক্তিতে ঈশ্বরকে ঠিক ঠিক প্ৰমাণ করতে পারে না, কেবল যুক্তিসঙ্গত একটা সিদ্ধান্তরূপে তাকে উপস্থাপিত করে । , ভগবানকে আমাদের থেকে বাইরে পাওয়া অসম্ভব। বাইরে যা ঈশ্বর তত্ত্বের উপলব্ধি হয়, তা আমাদের আত্মারই প্ৰকাশমাত্র । , আমরাই হচ্ছি ভগবানের সর্বশ্রেষ্ঠ মন্দির । বাইরে যা দেখা যায়, কেতা আমাদের ভিতরের জিনিসেরই অতি সামান্য অনুকরণ মাত্ৰ । আমাদের মনের শক্তিগুলার একাগ্ৰতাই আমাদের ঈশ্বরদর্শনে সহায়তা করবার একমাত্র যন্ত্র। যদি তুমি একটা আত্মাকে ( নিজ আত্মাকে ) জানতে পাের, তা হলে তুমি ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান সকল আত্মাকেই জানতে পারবে। ইচ্ছাশক্তি দ্বারা মনের একাগ্রতাসাধন হয়—আর বিচার, ভক্তি, প্ৰাণায়াম ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ের দ্বারা এই ইচ্ছাশক্তি উদ্বদ্ধ ও বশীকৃত হতে পারে। একাগ্ৰ মন যেন প্রদীপ-এর দ্বারা আত্মার স্বরূপ তন্ন তন্ন করে দেখা যায়। একপ্রকার সাধনপ্রণালী সকলের উপযোগী হতে পারে না । কিন্তু এই সকল বিভিন্ন সাধনপ্রণালী যে সোপানের ন্যায় একটার পর একটা করে অবলম্বন করতে হবে, তা নয় । ক্রিয়াকলাপ অনুষ্ঠানাদি সর্বনিম সাপান, তারপর ঈশ্বরকে আমাদের আত্মা থেকে বাইরে দেখা, তারপর আমাদের আত্মার ভিতর ব্ৰহ্মাসাক্ষাৎকার করা । স্থলবিশেষে, একটার পর আর একটা--এইরূপ ক্রমের আবশ্যকতা হতে পারে, কিন্তু অধিকাংশ স্থলে কেবল একটা পথেরই আবশ্যক হয়ে থাকে । ‘জ্ঞানলাভ করতে হলে তোমাকে কৰ্ম্ম ও ভক্তির পথ দিয়ে প্রথমে Sev