পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । হচ্ছে বিশ্রাম বা লয় স্বরূপ , আমরা সকল প্ৰকাশই এক ঈশ্বর হতে প্ৰসূত বলে থাকি । ‘টাও’বাদী*, Trz (Confucius) NTDsțqžš, বৌদ্ধ, হিন্দু, য়াহুদী, মুসলমান, খ্ৰীষ্টিয়ান ও জরাতুষ্ট্র-শিষ্যগণ (Zoroastrians )সকলেই প্ৰায় এক প্রকার ভাষায়, “তুমি অপরের কাছ থেকে যেরূপ ব্যবহার চাও, অপরের প্রতি ঠিক সেইরূপ ব্যবহার কর”-এই অপুর্ব নীতি প্রচার করেছেন। কিন্তু হিন্দুৱাই কেবল এই বিধির ব্যাখ্যা দিয়েছেন ; কারণ, তারা এর কারণ দেখতে পেয়েছিলেন । মানুষকে অপর সকলকেই ভালবাসতে হবে ; কারণ, সেই অপর সকলে যে সে ছাড়া কিছু নয়। এক অনন্ত বস্তুই রয়েছে কিনা ৷ জগতে যত বড় বড় ধৰ্ম্মাচাৰ্য্য হয়েছেন, তন্মধ্যে কেবল লাওটুজে, বুদ্ধ ও যীশুই উক্ত নীতিরও উপরে গিয়ে শিক্ষণ দিয়ে গেছেন, “তোমার শত্রুদিগকে পৰ্য্যন্ত ভালবাস’, ‘যারা তোমার ঘুণা করে, তাদেরও ভালবাস ।” তত্ত্বসমূহ পুৰ্ব্ব থেকেই রয়েছে ; আমরা তাদের সৃষ্টি করি না, আবিষ্কার করি মাত্র । ধৰ্ম্ম কেবল প্ৰত্যক্ষানুভূতিমাত্র। বিভিন্ন মতামত পথস্বরূপ-প্ৰণালীস্বরূপ মাত্র, ওরা ধৰ্ম্ম নয় । জগতের যত বিভিন্ন ধৰ্ম্ম সব বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন প্রয়োজন অনুযায়ী এক ধৰ্ম্মেরই বিভিন্ন প্ৰকাশমাত্র। শুধু মতে কেবল বিরোধ বাধিয়ে দেয় ; দেখ না, কোথায় ঈশ্বরের নামে লোকের শান্তি হবে-ত না হয়ে জগতে যত রক্তপাত হয়েছে, তার অৰ্দ্ধেক ঈশ্বরের নাম নিয়ে হয়েছে। lay ku

  • খ্ৰীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে চীনদেশে লাওটুজে-প্ৰবৰ্ত্তিত ধৰ্ম্মসম্প্রদায়। ইহাদের মত প্ৰায় বেদান্তসদৃশ। টাও'এর ধারণা অনেকটা বেদান্তের নিগুৰ্ণ ব্ৰহ্মসদৃশ।

VeGR9