পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । বৰ্গকে মন্ত্ৰমুগ্ধ করিয়া রাখিতেন, কারণ, তাহার বক্তব্য বিষয়ের উপর অসাধারণ অধিকার ছিল, এবং তিনি এমনভাবে কথা কহিতেন, যেন তিনি "চাপরাস” পাইয়াছেন। তাঁহার তর্কগুলি যুক্তিপূর্ণ থাকিত এবং লোকের সংশয় অপনোদন করিয়া দিত, আর বক্তৃতার অতি উৎকৃষ্ট অংশেও ঙিনি কদাপি ভাববশে চালিত হইয়া, যে সত্যটী তিনি লোকের মনে দৃঢ়াঙ্কিত করিয়া দিতে প্ৰয়াস করিতেছিলেন, সেই মূল বক্তব্য বিষয়টি হারাইয়া ফেলিতেন না । তিনি নিৰ্ভীকভাবে ধৰ্ম্ম বা দর্শনের তত্ত্বগুলির প্রতিবাদ করিতেন, কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যাপারে লোকে স্বতঃই বুঝিতে পারিত যে, এ ব্যক্তির হৃদয় এত মহৎ যে, উহা লোকের দোষ ও দুর্বলতার দিকে না দেখিয়া সমুদায় বিশ্বকে আপনার বুকে টানিয়া হইতে পারে ; ইনি লোকের অত্যাচার সহ্য করিতে ও তাহাদিগকে ক্ষমা করিতে কখনও পরামুখ হইবেন না । বাস্তবিকই, পরে আমার তাঁহার সহিত ঘনিষ্ঠাতা-লাভের সুযোগ ঘটিলে আমি দেখিয়াছি, তিনি সত্য সত্যই মানুষের যতদূর সাধ্য ততদূর ক্ষমা করেন। আহা, কি অপরিসীম ভালবাসা ও ধৈৰ্য্যের সহিত তিনি তঁহার সমীপগত লোকদিগকে তাহদের নিজ নিজ দুৰ্বলতার গোলকধাঁধা হইতে বাহির করিয়া আনিয়া, তাহাদিগকে “কঁচা আমি’র গণ্ডী অতিক্রম করিয়া ঈশ্নরলাভের মার্গ নির্দেশ করিয়া দিতেন ! তিনি ঈর্ষা বলিয়া কিছু জানিতেন না। যদি কেহ তঁহাকে “ গালি দিত, তিনি গম্ভীর হইয়া যাইতেন এবং ‘শিব’ ‘শিব’ বলিতে বলিতে তাঁহার বদন উদ্ভাসিত হইয়া উঠিত, আর তিনি বলিতেন, “ইহা, অশুধু প্ৰিয়তম প্রফুরই বাণী !” অথবা আমাদের মধ্যে যাহারা আঁহাৰ্কে 歌町