পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেৰৰাণী । আমার মনে হয়, তাহার অপরিসীম ধৈৰ্য্য ও কোমলতাই আমাকে ঐ কালে সর্বাপেক্ষা মুগ্ধ করিয়াছিল। পিতা তাঁহার সন্তানদের যে, চক্ষে দেখেন, তিনিও আমাদের সেই চক্ষে দেখিতেন- যদিও আমাদের মধ্যে অনেকেই তাহার অপেক্ষণ বয়সে অনেক বড় ছিলেন । প্ৰাতঃকালের ক্লাসের কথোপকথনগুলি শুনিয়া সময়ে সময়ে আমাদের মনে হুইত, যেন তিনি ব্ৰহ্মকে করামলকবৎ প্রত্যক্ষ করিয়াছেন, এমন সময়ে হয় ত তিনি সে কক্ষ পরিত্যাগ করিয়া উঠিয়া যাইতেন এবং অল্পীক্ষণ পরেই ফিরিয়া আসিয়া বলিতেন, “এখন আমি তোমাদের জন্য রন্ধন করিতে যাইতেছি ।” আর, কত ধেৰ্য্যের সহিত তিনি উনানের ধারে দাড়াইয়া আমাদের জন্য কোন কিছু ভারতীয় আহাৰ্য্য প্রস্তুত করিতেন ! ডিটয়েটে আমাদের সহিত শেষবার অবস্থানকালে তিনি একদিন আমাদিগের জন্য অতি উপাদেয়া ব্যঞ্জন প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন। প্ৰতিভাশালী, পণ্ডিতগ্রগণ্য জগদ্বিখ্যাত বিবেকানন্দ শিষ্যগণের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভাবগুলি নিজ হন্তে পুরাণ করিয়া দিতেছেন --শিষ্যগণের পক্ষে কি অপুর্ব উদাহরণঃ ! তিনি ঐ সকল সময়ে কত কোমল, কত করুণস্বভাব হইতেন ! কত কোমলতাময় পুণ্যস্মৃতিই না। তিনি আমাদিগকে উত্তরাধিকারসূত্ৰে অৰ্পণ করিয়া গিয়াছেন ! একদিন স্বামিজী আমাদিগকে একটা ༢ ཤficཤཤ--ག་ཚེ་ গল্পটাই ঘূর্তিাহার জীবনে সৰ্ব্বাপেক্ষণ অধিক প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল । শৈশবে ধাত্রীর মুখে তিনি উহা বার বার শুনিয়াছিলেন, এবং বার বার শুনিয়াও তাঁহার কখনও বিরক্তি বোধ হইত না । যতদূর সম্ভব, তাহার নিজের ভাষায়ই উহা আমি এখানে উল্লেখ করিতেছি :- str