পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য্যদেব । এক বিধবা ব্ৰাহ্মণীর একটা সন্তান ছিল। ব্ৰাহ্মণী অত্যন্ত দরিদ্র ছিলেন, আর পুত্ৰটী অতি অল্পবয়স্ক ছিল-শিশু বলিলেই হয় । ব্ৰাহ্মণের সন্তান, সুতরাং তাহাকে লেখা-পড়া শিখাইতেই হইবে । কিন্তু কিরূপে উহা সম্ভব হয় ? দরিদ্র ব্ৰাহ্মণীর যে গ্রামে বাস, তথায় কোন শিক্ষক ছিল না, সুতরাং বালককে শিক্ষালাভ করিবার জন্য নিকটবৰ্ত্তী গ্রামে যাচীতে হইত, এবং তাহার জননী অত্যন্ত দরিদ্র থাকায় তুহাকে তথায় হঁটিয়া যাইতে হইতে । গ্রামন্বয়ের মধ্যে একটী ক্ষুদ্র জঙ্গল ছিল এবং বালককে উহা অতিক্রম করিতে হইত। সকল উষ্ণ প্ৰধান দেশের ন্যায় ভারতেও খুব প্রাতে এবং পুনরায় সন্ধ্যার প্রাক্কালে শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে, দিবসের গ্রীষ্মাধিক্যে কোন কাজ হয় না । সুতরাং বালকের পাঠশালা যাইবার সময় এবং পুনরায় বাড়ী ফিরিবার সময় রোজই অল্প অন্ধকার থাকিত । আমাদের দেশে যাহাঁদের সঙ্গতি নাই, তাহাদিগকে ধৰ্ম্মশিক্ষা বিনামূল্যে দেওয়া হয়, সুতরাং বালক বিনাব্যয়ে এই গুরুমহাশয়ের নিকট পড়িতে পাইল, কিন্তু তাহাকে জঙ্গলের মধ্য দিয়া যাইতে হইত, এবং সঙ্গে কেহ না থাকায় সে মহা । ভয় পাইত । একদিন বালক তাহার মাতার নিকট বলিল, “আমাকে প্ৰত্যহ ঐ अबू वन बदा দিয়া যাইতে হয়, আমার ভয় পায় । অন্য ছেলেদের সঙ্গে চাকর যায়, তাহারা তাহাদের তত্ত্বাবধান করে, আমার সঙ্গে যাইবার জন্য কেন একটী চাকর থাকিবে না৷ ” উত্তরে যাতা বলিলেন, “বাবা, দুঃখের কথা কি বলিব, আমি যে বড় গরীব, আমার যে তোমার সঙ্গে চাকর দিবার সঙ্গতি নাই ।” ছেলেটিী জিজ্ঞাসা করিল, “তাহা হইলে আমি কি করিতে, পারি?” মতা