পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । বলিলেন, “বলিতেছি । এক কাজ করা-ঐ বনে তোমার রাখাল-দাদা কৃষ্ণ আছেন। ( ভারতে শ্ৰীকৃষ্ণের একটী নাম “রাখাল-রাজ” ), তাঁহাকে ডাকিও, তাহা হইলে তিনি আসিয়া তোমার তত্ত্বাবধান করিবেন, এবং তুমিও আর একা থাকিবে না।” বালক পরদিনও সেই বনে প্ৰবেশ করিল এবং ডাকিতে লাগিল, “রাখাল-দাদা, রাখালী-দাদী, তুমি এখানে আছে কি ?” এবং শুনিতে পাইল, কে যেন বলিতেছে-“হঁঃ, আছি।” বালক সাত্মনা পাইল এবং আর কখনও ভয় করিত না । ক্ৰমে সে দেখিতে লাগিল, তাহারই বয়সী এক বালক বন হইতে বাহির হইয়া তাহার সহিত খেলা করে এবং তাহার সঙ্গে সঙ্গে যায় । ছেলেটীর মনে আর দুঃখ রহিল না । কিছুদিন পরে শুরু মহাশয়ের পিতৃ-বিয়োগ হইল, এবং ভারতের প্রথা-মাত, তদুপলক্ষে একটা বৃহৎ অনুস্থান হইল । সেই সময়ে সকল ছাত্রকেই গুরুমহাশয়কে কিছু কিছু উপহার দিতে হইবে, সুতরাং দরিদ্র বালক তাহার মাতার নিকট গিয়া বলিল, “মা, অন্য ছেলেদের মত আমিও গুরুমহাশয়কে কিছু উপহার দিব, আমাকে কিছু কিনিয়া দাও।” । কিন্তু জননী বলিলেন যে, তিনি নিতান্ত দরিদ্র । তাহাতে বালক কাদিতে কঁাদিতে বলিল, “আমার উপায় ?” শেষে মাতা বলিলেন, “রাখালী-দাদার কাছে গিরা তাহার নিকট চাও।” ইহা শুনিয়া বালক *বনের মধ্যে গিয়া ডাকিল, “রাখালী-দাদা, গুরু মহাশয়কে উপহার দিবার জন্য তুমি আমাকে কিছু দিবে কি ?” অমনি তাহার সম্মুখে একটা দুগ্ধভাণ্ড উপস্থিত হইল । বালক কৃতজ্ঞহৃদয়ে ভাগুটী গ্ৰহণ করিল এবং গুরুমহাশয়ের গৃহে গিয়া এককোণে দাড়াইয়া, ভূতগণ তাহার NKD