পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । টবের মত, কিন্তু টবি থেকে ওকে একদিন না একদিন বেরুতে হবে । নিষ্ঠা যেন চারাগাছটকে টবে বসিয়ে রাখা-সাধককে তার নির্বাচিত পথে আগলে রাখা । 弥 سنتے 米 米 সমগ্ৰ সমুদ্রটািল দিকে দেখ, এক একটা তরঙ্গের দিকে দেখো না ; একটা পিপড়ে ও একজন দেবতার ভিতর কোন প্ৰভেদ দেখো না । প্ৰত্যেক কীটন্ট পৰ্য্যন্ত প্ৰভু ঈশার ভাই । একটাকে বড়, অপরটাকে ছোট বল কি করে ? নিজের নিজের কোটে সকলেই যে স্ব স্ব প্রধান । আমরা যেমন এখানে রয়েছি, তদ্ররূপ সুৰ্য্য, চন্দ্ৰ, তারাতেও রয়েছি । আত্মা দেশকালের অতীত ও সর্বব্যাপী । যে কোন মুখে সেই প্রভুর গুণগান উচ্চারিত হচ্ছে, তাই আমার মুখ, যে কোন চক্ষু কোন বস্তু দেখছে, তাই আমার চক্ষু । আমরা কোন নিদিষ্ট স্থানে সীমাবদ্ধ নই ; আমরা দেহ নই, সমগ্ৰ ব্ৰহ্মাণ্ডই আমাদের দেহ । আমরা যেন ঐন্দ্ৰজালিকের মত মায়া ব্যষ্টি ঘোরাচ্ছি, আর ইচ্ছামত আমাদের সম্মুখে নানা দৃশ্য স্বষ্টি করছি। আমরা যেন মাকড়সার মত আমাদের নিৰ্ম্মিত বৃহৎ জালের মধ্যে অবস্থান করছি।--মাকড়সা যখনই ইচ্ছা করে, তখনই তাঁর জালের মতোগুলোর যে কোনটাতে যেতে পারে। বর্তমানে সে যেখানটায় রয়েছে, সেইখানটাকেই কেবল জ্ঞানদণ্ড পারছে, কিন্তু কালে সমস্ত জালটাকে জানতে পারবে। আমরাও এখন আমাদের দেহটা যেখানে রয়েছে, সেইখানটাতেই নিজ সত্তা অনুভব করছি, এখন আমরা কেবল একটা মস্তিষ্কমাত্র ব্যবহার করতে পারি, কিন্তু যখন আমরা পুর্ণজ্ঞান বা জ্ঞানাতীত অবস্থার উপনীত হই, তখন আমরা yr