পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । চিন্তা যেন তার উপর আস্তে আস্তে হাতুড়ির ঘা মারা-তাই দিয়ে আমরা দেহটাকে যে ভাবে ইচ্ছা, গঠন করি । আমরা জগতের সমুদয় সুচিন্তারাশির উত্তরাধিকারিস্বরূপ, যদি আমরা তাদের আমাদের মধ্যে অবাধে আসতে দিই । শাস্ত্ৰ ত সব আমাদের মধ্যেই রয়েছে। “মুর্থ, শুনতে পােচ্ছ না কি, তোমার নিজ হৃদয়ে দিবারাত্ৰ সেই অনন্ত সঙ্গীত ধ্বনিত হচ্ছেসচ্চিদানন্দঃ, সচিদানন্দঃ, সোহহং সোহহং ” আমাদের প্রত্যেকের ভিতর-কি ক্ষুদ্র পিপীলিকা, কি স্বর্গের দেবতা-সকলের ভিতরই অনন্ত জ্ঞানের প্রস্রবণ রয়েছে। প্রকৃত ধৰ্ম্ম একমাত্র, আমরা তার বিভিন্ন রূপ নিয়ে, তার বিভিন্ন প্ৰতীক নিয়ে, তার বিভিন্ন প্ৰকাশ নিয়ে ঝগড়া করে মরি। যারা খুজতে জানে তাদের কাছে সত্যযুগ ত বৰ্ত্তমানই রয়েছে । আমরা নিজেরাই নষ্ট হয়েছি, হয়ে জগৎকে নষ্ট মনে করছি । এ জগতে পূর্ণ শক্তির কোন কাৰ্য্য থাকে না ; তাকে কেবল “অস্তি” বা ‘সৎ মাত্র বলা যায়, তার কোন কাৰ্য্য থাকে না । যথার্থ সিদ্ধিলাভ এক বটে, তবে আপেক্ষিক সিদ্ধি নানাবিধ হতে পারে । OoGr veRR, রবিবার । একটা কিছু কল্পনা আশ্রয় না করে চিন্তা কক্সবার চেষ্টা, আর অসম্ভবকে সম্ভৰ কক্সবার চেষ্টা এক কথা । আমরা কোন একটী বিশেষ গুপ্তপায়ী জীবকে অবলম্বন না করে স্তন্যপায়ী জীবমাত্রের কোন ধারণা করতে পারি না । ঈশ্বরের ধারণা সম্বন্ধেও ঐ কথা । WWg