আমার চেয়ে অনেক বেশি। তবুও তােমার সঙ্গে এখানে ওখানে গিয়ে স্বাধীৱ । অনেক উন্নতি হয়েচে আগেকার চেয়ে-এখন বুঝিয়ে বন্ধে বুঝি। তোমার সেই সন্ন্যাসীর মতে এখন বোধ হয় আমার মুকুলিত চেতন-নয়তো বুঝিয়ে বরেণ্ড । বুঝতাম না, মনে সংশয় জাগতো, অবিশ্বাস জন্মাতো, তা হোলে সে সব তত্ত্ব আমার কোনো কাজে লাগতো না । এই সময় নেত্যনারাণ ডাকতে লাগলো চেচিয়ে-ও আশা, শোনো এদিকে : -এই আশা প্রৌঢ় বাড়ীওয়ালী বারান্দায় বার হয়ে বল্লে-একটু চা খাচ্চে, আপনাকেও পাঠিয়ে দিচ্চি তৈরী হোলে। আশা এখন যেতে পারবে না। ... ? নেত্য গরম মেজাজে বল্পে-কেন যেতে পারবে না-শুনতে পাই কি ? . ও আমার মেয়েমানুষ, আমি যখন ডাকবো, আলবৎ আসবে।-ওর বাবা আসবে।-- এই কথাটা যতীনের বুকে যেন গরম শূলের মত বিধিলে। আশা তার স্ত্রী, , , বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করে যার সঙ্গে সে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়েছে—সেই আশা অপরের ‘মেয়েমানুষ’ ? নেত্যর হুকুমে তাকে চলতে হবে ? যতীনের মাথা যেন, ঘুরে উঠলো! এক মুহূৰ্ত্তে সমস্ত দুনিয়া বিস্বাদ, মিথ্যে, ঙ্গোলো হয়ে দাড়ালোমস্ত একটা ফাকি, মন্ত একটা ধাপ্পাবাজির মধ্যে পড়ে গিয়েচে সে । পুষ্প-টুপ, , সমিসি-টরিসি সব এই মস্ত জুয়োচুরির অন্তর্গত ব্যাপার। নইলে অগ্নিসাক্ষী করে, { হোম করে, বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করে যাকে সে সঙ্গ ধৰ্ম্মিণী করেছিল কিংবা এই হয়তো নরক । সে হয়তো নরক ভােগ করচে-স্ত্রীর প্রতি কৰ্ত্তব্য করেনি, ঙ্গের করে তাকে শ্বশুরবাড়ী থেকে এনে কাছে রেখে সংশোধনের চেষ্টা করে নি, ক্লীবের মত নিশ্চেষ্ট হয়ে ছিল, সেও তমােগুণ। তার জন্যেই এই দারুণ নরক। তাকে স্বচক্ষে দেখতে । হচ্চে, কে যেন টেনে নিয়ে আসচে। এখানে, এই শোচনীয় দৃশ্য দেখতে কে যেন ? তাকে বাধ্য করচে, নিয়তির মত নিষ্ঠুব সে আকর্ষণ, রেহাই দেবে না। তাকে। :x , পুষ্প বল্পে-চলে যতীন দা, আর এখানে থেকে কষ্ট পেয়োনइडौन দুঃখমিশ্রিত হতাশার স্বরে বল্পে-তুমি অতি করুণাময়ী। তুমি জানো যে এ আমার কৰ্ম্মফলের ভোগ, এ নরক । তুমি দয়া করে তাই কেবল এখােন থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইচ, আমি সব বুঝতে পেরেচি এবার। কিন্তু পুষ্প, দয়ামী, আমার সাধি কি, আমি যাই? চুম্বক যেমন লোহাকে টানে, আশার ; ? ভাগ্য ও আমার কৰ্ম্মফল পরস্পরকে তেমনি টানচে 1 টেনে আনয়ে কোথায় ।
