পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধারণাদি ঋদ্ধি—এই ব্ৰহ্মাণ্ডের আশেপাশে এই স্বাক্ষ অনন্য কোঃ , আবরণের সহিত প্রজ্বলন্ত অবস্থায় অবস্থিত। সে সব ব্ৰহ্মাও আমিও দেখি । ভূমি যে পখিকদেবতার সাক্ষাৎ পেয়েছিলে, তীর মত বিয়ার্ট দূৰ্ণ আত্মারা খ্ৰী. কৃপায় বহু সৌরমণ্ডল, বহু নীহারিকা, নক্ষত্রজগৎ অতিক্রম কৰুে,এই অনন্তু বিৰে । ঘুরে বেড়াবার অধিকার ও শক্তি পেয়েছেন। বিগত কয়ে আর একজন এমন । দেবদূতকে আমি জানতাম-তিনি পৃথিবীর এক আবৰ্ত্তকাল অর্থাৎ প্রায় বাইশ ! হাজার বছর ধরে বিদ্যুতের অপেক্ষাও দ্রুতগতিতে পরিভ্রমণ করেও শুধু আমাদের এই ব্ৰহ্মাণ্ডটার কুলকিনারা পান নি। তা ছাড়াও তো অনন্তকোটিব্ৰহ্মাপ্তানি । সাবর্ণানি জলস্তি-কোথায় তার ঠিকানা, কোথায় তার কুলকিনারা, কোথায় । তাদের সীমা! এখন ভাবে, এই সমুদয় বিশ্ব র্যার ইঙ্গিতে চলেচে-পৃথিবীর ছেলেদের খেলবার ক্রীড়নকের মত বন বন করে ঘুরচে-তীকে কে স্বামতো श् िछिन् िनिस् ताश् छ्र° -- পুষ্প অনেকক্ষণ থেকে যে প্রশ্ন করতে চাইছিল, এবার তার সুযোগ লেয়ে মন্ত্ৰীয়ার স্বরে বয়ে-গ্রন্থ, আমিও ঐ প্রশ্ন করতে চেয়েছিলুম-আপনি অন্তৰ্য্যামী, . বুঝতে পেরেই তার উত্তর দিলেন। আমিও জানতে চাইছিলুম ভগবানকে আপনি কি দেখেচোন ? দয়া করে আমার এই কৌতুহল- . بحي করুণাদেবী এবার উত্তর দিলেন, কারণ গ্রহদেব তখন আপন ভাবে বিভোৰ। বিশ্বের ভগবানের কথা মনে ওঠাতে অন্য প্রশ্নের দিকে পৃষ্ঠার মন ছিল না, যদি মন নামক অতি ক্ষুদ্র মানুষী ইন্দ্ৰিয় তাঁর মত বিরাট দেবতাতে আরোপ করা : চলে। বম্নেন-না পুষ্প, উনি দেখেন নি। আমিও দেখি নি। অথচ অঁাকে । অনুভব করেচি। তিনি কোথায় নেই? বিশ্বের প্রতি বাষ্পকণায়, জ্যোতিঃৰুখায়, " পৃথিবীসমূহের প্রতি তৃণে প্রতি ধূলিকণায় তিনি। তিনি আছেন তাই আমরা ? আছি, তোমরা আছ, বিশ্ব আছে। তিনি সকলেরই। তুমি চাও, তোমার আমি চাই, আমার । 接 গ্ৰহদেব বল্লেন-পুষ্প, বুদ্ধি দিয়ে তাঁকে বুঝতে যেও না। পারা যায় না। সে ইস্ক্রিয় তোমাদের নেই-তবে শুধু তীকে ভালবাসা দ্বারা মন ও বুদ্ধিকে । অতিক্রম করে এমন ভূমি লাভ করা যায় যে-ভূমি থেকে তঁকে অনুভব করা যায়। । নয় তো ধার সে ক্ষমতা নেই-সেও যদি আকুল হয়ে ডাকে-তার মন ও বুদ্ধির * গাম্য হয়ে নিজেকে খুব ছোট করে সে ভক্তকে তিনি দেখা দেন। পৃথিবীতে কত লোক ইষ্টরূপে তাঁকে ভজনা করে! ছোেটর কাছে ছােট হয়ে দেখা দেন। তিনিকত কৃপা কুঁয়! কিন্তু যে ৰূপ আঁর নিজের-লে রূপে তাঁকে কে দেখতে পায়-”