পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' ဖ္ရစ္ *দেবধান * * *স্প্ৰস্তু, কেউ কি পায় না ? ° --ব্রহ্মলোক্লেরও বহু উদ্ধে তাঁর নিজের লোক। দেখি নি, তবে জ্ঞান দ্বারা । অনুভব করতে পারি। সেখানে হাজার হাঙ্গার কল্পের পূৰ্ব্বেকার মুক্ত আত্মারা আছেন-কর্থনঙ দেখিনি তঁদের। র্তারা মহাশক্তিধর, বিশ্বের সৃষ্টি স্থিতি লয় করবার ক্ষমতা বাঁধেন। তাঁরাই তাঁকে স্বরূপ হয়তো দেখেন। কিন্তু মানুষের রূপে দেখতে চাও, তুমিও পাবে। ভক্তি করে চাও ! অত বড়ও কেউ নেই, আব্বাক্স অতি ছোটও কেউ নেই ; যতীন বল্পে-প্ৰভু, এই পৃথিবীর মানুষে ভগবানকে জানে ? --সব পৃথিবীর অবস্থাই সমান। সত্য জানতে চায় ক'জন ? এখানে তো দুখচোঁ, ইন্দ্ৰিয়জ মুখ নিয়ে সবাই মত্ত। সেই বিরাট মহাশক্তির ধারণা করা ঐদের পক্ষে সহজ নয়। অবশ্য এরা পৃথিবীর জীবের চেয়ে অধিকতর জড়বুদ্ধি- , সম্পন্ন। বহুকাল, যুগ-যুগান্তু কেটে যাবে। এদের সমস্ত জড়তা, মনের মালিন্য দূর করে সে ধারণা উদ্বুদ্ধ করতে। কিন্তু বিশ্বের ভগবানের অসীম ধৈৰ্য্য । কাউকে তিনি অবহেলা করবেন না। তবে অনেক দেরি হয়ে যাবে। যারা নিরলস *আত্মা, আধ্যাত্মিক জ্যোতি যাদের মধ্যে জলচে স্বয়ম্প্রভ মহিমায়, তারা এক জ্বয়েই ঘুম ভেঙে চেয়ে দেখে। যেমন বলেছিলেন তোমাদের গ্রহের এক প্রাচীন কবি-“বেদাহমেতং পুরুষং মহান্তম আদিত্যবৰ্ণং তমস: পরস্তাৎ-আমি অন্ধকারের ওপারের সেই আদিত্যবর্ণ মহান পুরুষকে জেনেচি-ওগো শোনো সবাই শোনো }শুষ্ক বিশ্বে ৪। কত আনন্দ! আনন্দের ভাগ সবাইঙ্কের দিলে যেন চলচে না ; কিন্তু ভাবো, ক'জন সেজন্যে ব্যগ্র ? আদিত্যুৰ্ধণ পুরুষকে না। জানলেও তাদের জন্মের পর জন্ম, যুগের পর যুগ, এমন কি কল্পের পর কল্প পরম : আরামে অঙ্কের মত কেটে যাচ্চে চির-অন্ধকারে । তার ওপারে কি আছে কে সন্ধান রাখে ? 狭,s যতীনের মনে একটা প্রশ্ন জাগলো। প্রশ্নটা সে করলে-তাদের মত অসীম । শক্তিধর দেবতা কৃপা করলে তো একদিনে সব উদ্ধায় হয় ! সত্যের প্রচার করে । দিলেই তো হয়। , , , দেবতার মুখে সুনুকম্পার হাসি ফুটে উঠলো। বন্ধেী—তা কি হয় ? যে পৃথিবীৰে সম্ভের জন্যে প্রস্তুত নয়, যে মানুষকে যে কথা বন্ধে সে বুঝবে নাসেখানে সে সত্য প্রচার করা হয় না, সে মানুষকে সে কথা জোর করে শোনানো ? হয় না। (জাতীনক্ষত্ৰৰ জল বিস্তুকে পড়লে মুল্লা হয়-কিন্তু ধূলোয় পড়লে ?” : গুণাত্র মহাজ্ঞানী। যা হয় না, তা তিনি করেন না। _/