পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীর পরিচ্ছেদ । $ 0.5 স্থানান্তরিত করিবার বিবিধ চেষ্টা করিতে লাগিল। একদা প্রত্যুষে রাজাকে নির্জনে দেখিয়া উহার কছিতে লাগিল, * অবনিপাল ! আপনকার জামাতার বাহ ব্যবহারে যেরূপ বিচক্ষণত, মহানুভবত্ব ও মন-সারল্য লক্ষিত হয়, বাস্তবিক তাহা সকলই অলিক ; কেবল বাহিরে মধু অন্তরে গরল ! আমরা বিস্তর আয়াসে স্পষ্ট উপলব্ধি করিয়াছি, কোন কৌশল দ্বার মহারাজকে সংহার করিয়া সিংছসনাসীন হওয়াই উপহার অভিসন্ধি। অতএব অবিলম্বে র্তাহাকে আহবান পূর্বক স্বীয় রাজ্য হইতে নিৰ্ব্বাসনামুমতি কৰুন।” রাজ ভীমসেন স্বভাবতই অবিবেকী, শিথিল-বুদ্ধি ও অতিশয় সন্দিগ্ধচিত্ত ছিলেন ; সুতরাং মন্ত্রিবর্গের শাঠ্য-জালের প্রতি বিশেষ প্রণিধান না করিয়া, এই অযৌক্তিক বাক্য যুক্তিযুক্ত বোধে, তৎক্ষণাৎ অরবিন্দকে আহবান করিয়া কছিলেন, “ আমি তোমার দুরভিসন্ধির সম্পূর্ণ মর্মাবধারণ করিয়াছি ; অতএব তুমি অগোণে আমার প্রদেশ ছইতে প্রস্থান কর।” রাজকুমার শ্বশুরের এতাদৃশ পৰুষ বাক্য শ্রবণে নিতান্ত খিন্ন হুইয়। তৎক্ষণাৎ সভা হইতে বিদায় হইলেন এবং গমনকালীন একবার প্রিয়তম প্রণয়িনীর সহিত সাক্ষাতাভিলাষে অবরোধ-দ্বারে দওtয়মান থাকিলেন । এদিকে মনস্বিনী চন্দ্রপ্রভ। ঈশ্বরোপাসনা সমাপনস্তে ੇ প্রকারে পরমপ্রণয়িতব্য জীবন-সৰ্ব্বস্ব পতির পরিচর্ষ্য দ্বারা পতিব্ৰতা ধর্মের গৌরব রক্ষা করিয়া ঈশ্বরের প্রেম-ভাজন হওয়া যায়, মনে মনে এই বিষয়ের পুনঃ পুনঃ আন্দোলম করিতেছিলেন । এমত সময় এক সহচরী আসিয়া সজল নয়নে তাহার সম্মুখে দণ্ডায়মান হইল । রাজকুমারী প্রিয় সহচরীকে স্নান-বদন ও সজল-লোচনা দেখিয়া অতিশয় ব্যস্ত হইয়া কছিলেন, “ সখি !