পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5 о а দেবীরবিনঙ্গ । চন্দ্রাষ্টক ও রমণীয় জ্যোতিষ্মান অঙ্গুরীয়-ত্ৰয়-বলয়িত সৌরি প্রভৃতি এছগণ যথাকলে পৰ্য্যায়ক্রমে গতিবিধি করিতেছে । যাহ। বাছ আমাদের অত্যাবশ্বকীয়, কৰুণাময় পরমেশ্বর তাহ প্রচুর রূপে প্রদান করিয়াছেন । দেখ, জগজীবন বায়ু, সৰ্ব্বজীবের জীবনধার জীবন ইত্যাদি অতিপ্রয়োজনীয় পদার্থ সমূহ সৰ্ব্বস্থানে অপৰ্য্যাগু রূপে রাখিয়াছেন । উtহার কৰুণার অন্ত মাই, মছিমার পর নাই ।” শুদ্ধমতি ওপরত্রভীৰু রাজনন্দিনী প্রজকপোল-কম্পিত এই সকল সাত্বিক উপদেশ শ্রবণে যৎপরোনাস্তি চিত্ত প্রসাদ লাভ করিয়া কছিলেন, “ নাথ ! অদ্য এ দাসীকে কৃতাৰ্থ করিলেন ।” প্ৰবঞ্জকার বিবিধপারমার্থিক কথোপকথনে রাত্রি অধিক হইলে, উভয়ে গৃহে প্রত্যাগমন করিলেন । মনুষ্যের মুখ দুঃখের অবস্থা চিরকাল কখন সমান থাকে না। দেখ রামচন্দ্র রাজপুত্ৰ হুইয়। পরম মুখে কাল যাপন করিতেন। রাজা দশরথও তাছাকে যৌবরাজেgঅভিষেক করিতে প্রস্তুত হইয়াছিলেন, কিন্তু হঠাৎ কালিনী মহিষী কৈকেয়ীর পরচক্রে প্রতারিত হইয়। সেই প্রাণ-সম পুত্র রামচন্দ্রকে বনবাস দিলেন । ছায় ! কোথায় রাজ্যভিষেক, কোথায় বনবাস ! বনেই বা উহার কত কষ্ট সজ করিতে হইয়াছিল। কিন্তু সেই অপর দুঃখসাগর উত্তীর্ণ হুইয়। পুনৰ্ব্বার রাজধানীতে প্রত্যাগমন পূর্বক সিংহসনাধিরূঢ় হইয়া বহুকাল মহাসুখে কালযাপন করেন। অতএব মমুজবর্গের সুখ ও দুঃখ উভয়ই ক্ষণিক । রাজমন্ত্রিগণ ক্রমে অরবিন্দকে সৰ্ব্ব-গুণম্পদ এবং রাজ-ভীমসেনকে ভঁtহার প্রতি সাতিশয় অনুরক্ত ও আপনাদিগকে শিথিলাদর দেখিয়া যৎপরোনীত্তি ঈর্ষ্যাম্বিত হইল, এবং রাজকুমারকে