ठूउँौग्न श्रृष्क्रिम | సీ సి আমরা উহাকে প্রবোধ দিব ? হায়! তোমাকে বনে বিদার দিয়া আমরা কেমন করিয়া শূন্যগুছে ফিরিয়া যাইব ?—ফিরিয়া যাইয়াই বা কেমন করিয়৷ তোমার নিবাস-মন্দির ও কেলিকুঞ্জের প্রতি দৃষ্টিপাত করিব ? হয় । এই ত্রিদিব-বিভব-শালী রাজপুরীতে একটমাত্র দীপ জ্বলিত, আজি হইতে বিধাতা তাছাও . নিৰ্ব্বাণ করিলেন ! P চন্দ্রপ্রভা নয়ন-আঁসোরে অর্জ হুইয়। শোকস্কুল কণ্ঠে কছিলেন, “ প্রিয়সখীগণ ! এ সময় অণর বুখ। প্রলাপ করিয়৷ বিলাপ বৃদ্ধি করিও ন । এ অভাগীর ভাগ্যে বিধাত যাহ। লিখিয়াছিলেন তাহাই ঘটিল সে জন্য আর খেদ করিও না । তোমরা এক্ষণে সকলে গৃহে ফিরিয়া যাও । আর পিতার চরণে আমার কোটি কোটি প্রণাম জানাইয়। কছিও, যাহার পদরাজীবে সমর্পণ করিয়াছেন, তাহারই অনুবর্তিনী হইলাম, পতি ভিন্ন অবলার আর কি গতি আছে । প্রিয়সখীগণ ! এ দুরদৃষ্ট সখীকে ভুলিও না, তোমাদের কাছে আজি অভাগিনী চন্দ্র প্রভার এই ভিক্ষা ।” এই বলিয়। রাজকুমারী বিরত হইলে, অরবিন্দ সজলনয়নে সৰী"কে সম্বোধন করি কছিলেন, “ সহচরীগণ! আমরা এক্ষণে বিদায় হই, আমার দুঃপ্রাক্তন বশতঃই তোমাদের সহবাস জনিত অনুপম সুখে বঞ্চিত হইলাম। শ্বশ্রদেবীকে আমার ভক্তপূর্ণ প্রণাম জানাইও--আর কি কহিব ?” এইমাত্ৰ বলিয় রাজকুমার প্রিয়তমার হস্তধারণপূর্বক যাত্রা করিলেন । সখীরা অঞপূর্ণ নয়নে তাছাদের গমনদিশাভিমুখে চাহিয়৷ থাকিল এবং যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত র্তাছার মেত্র-পথের বহির্ভূত না হইলেন, ততক্ষণ নির্নিমেষে সেই দিকে নিরীক্ষণ করিয়া রিছল ; নয়ন-পথের অগোচর হইলে, হাহাকার করিয়৷ বিজয়৷
