পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 দেবারবিন । ইশ্বস্তুত ঐশালাপন করিতে করিতে প্রেয়সীর কর ধারণ পূৰ্ব্বক সরসীর কিঞ্চিদূর-স্থিত মনোহর লতাকুঙ্গাভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়৷ এক শিলাতলে উপবেশন করিলেন। ইরেশাঙ্গজ পথ-শ্রাম্ভে নিতান্ত ক্লান্ত হইয়াছিলেন, একারণ উপবেশনে অসমর্থ হইয়। ঐ শিলাতলেই শয়ন করিলেন । শয়ন মাত্রেই তাছার ঘোরতর নিদ্রাকর্ষণ হইল। ইলিকা-পালাত্মজ প্রণয়িণীকে সুপ্ত। দর্শনে সুশীতল সমীরণ সেবনার্থে মঞ্জুল হইতে বহির্গত হইয়। প্রোক্ত সরোবরের তীরে উপবেশন করিলেন। এমন সময়ে छूद्धদেশ-গামী কোন অর্ণবযানে পানীয় বারি না থাকাতে পোতস্বামী কতিপয় বাহক সমভিব্যাছারে মিষ্টজলান্বেষণে ঐ সরেবরের তীরে অসিয়া উপস্থিত হইল। এ পোতাধ্যক্ষ দাস বিক্রয় দ্বার জীবিক নির্বাহ করিত ; অতএব ঈদৃশ নির্জন স্থানে রাজকিশোরকে সহচর-শূন্ত দেখিয়া সাতিশয় আহিলাদিত হইল। স্বপ-নন্দন অপরিজ্ঞাত যান-স্বামীকে সমীপাগত দেখিয়া জিজ্ঞাস করিলেন, ঃ তুমি কে ? যান-স্বামী উত্তর করিল, “ আমি যে হই সে হুই, এইক্ষণে তোমার প্রভু, তুমি আমার দাস ; অতএব ত্বরায় আসিয়া আমার সাগর-যানে আরোহণ কর ।” দেবরাজ ঐ দুরাত্মার এতাদৃশ পৰুষ বাক্য শ্রবণ করিয়া এবং উছার ভাব-গতিক দর্শন করিয়া নিতান্ত ভীত হওত অনুনয় সহকারে কছিলেন, “ মহাশয় ! ক্ষম কৰুন, বিন অপরাধে আমাকে হুঃসহ দাসত্ব-শৃঙ্খলে বদ্ধ করিবেন না।” কিন্তু ঐ দুরাত্ম। তাছার বিনয়-বচনে কর্ণ-পাত না করিয়া উপস্থাকে বন্ধনর্থ বাছকদিগকে অনুমতি করিল। নির্দয় বাহকগণ প্রভুর আদেশমাত্র দৃঢ় রঙ্জুম্বার রাজকুমারের স্বকোমল কর-কমল