পাতা:দেবারবিন্দ.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ৷ ” - ৪৯ । কাছার সাধ্য ? অমামসীর তিমিরাৱত যামিনীতে স্থনির্মল নভোমণ্ডলের প্রতি দৃষ্টি-পাত করিলে কি আশ্চর্য ব্যাপারই অবলোকিত হয় ! মস্তকোপরি ঐ যে নীলচন্দ্রাতপ-স্বরূপ আকাশ-প্রদেশে হীরক-মালা-স্বরূপ সাগর-তীরস্থ অসস্থ্য সিকতা-বিন্দু-সদৃশ নক্ষত্র-পুঞ্জ অবলোকন, করিতেছ, উহার এক একটা কত রহৎ, স্থির করা সুকঠিন। ইছর মধ্যে আবার সপ্তর্ষি, অভিজিৎ প্রভৃতি কতকগুলি তারক কেমন সুদৃশ্ব প্রণালীতে অবস্থিত আছে । মহাসাগরের তরঙ্গাবলীর দ্যায় BBSBBS BB BBY BBB BBSBBB BBS BBBS BBBDS কত নিখৰ্ব্ব-গুণ অধিক তারক আমাদের চক্ষুর অগোচর রছিয়াছে, তাহ কে নির্ণয় করিবে ? ঐ যে নভঃ-প্রদেশে দক্ষিণে ভর-ব্যাপিত ঈষদ্ধবল বর্ণ হরিতলী দেখিতেছ, যাহাকে লোকে স্বর্ণদীও কহে, উছা কেবল নক্ষত্র-পুঞ্জ বৈ আর কিছুই নয়। এতদ্ব্যতীত সৰ্ব্ব-শক্তিমান বিশ্ব-নিরামকের অনতিক্রমশীয়-নিয়মানুসারে কত কত ধুমকেতু, উল্ক-পিও ইত্যাদি নিরন্তর অন্তরীক্ষে পরিভ্রমণ করিতেছে, তাছাই বা কে সঙ্খ্যা করিবে ? অমর একটা স্বর্য ও একটা চন্দ্র অবলোকন করিয়া কতই বিম্মিত ও চমৎকৃত হই! বিশ্ব-পতির অখিল ব্রহ্মাণ্ড-ভাণ্ডারে এতাদৃশ কত কোটি চন্দ্র স্বৰ্ষ্য বিদ্যমান আছে, তাছার সঙ্খ্যা করিয়া পৰ্য্যবসান করা যায় না । অপর এই সকল গ্রহ, উপগ্রহ, ধূমকেতু, উলঙ্কাপিণ্ড প্রভৃতির আয়তন, দূরস্থত, গতি ও বেগের বিষয় অনুধাবনপূর্বক পৰ্য্যালোচনা করিলে বিস্ময়ার্ণবে নিমগ্ন হইতে হয় । আমরা সহস্ৰ মনোযোগ সহকারে আজীবন যত্ন করিলেও মহা-মহাত্ম্যtধার জগৎ-পতির মহিমার পর দর্শন করিতে পারিব না ।” 4